বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতে দত্তক নেওয়ার প্রবণতা সময়ের সঙ্গে খুব একটা বাড়েনি। তবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছুটা বদল এলেও আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে দত্তক নেওয়ার পথ এখনও কঠিন বলেই মত অনেক বিশেষজ্ঞের। বুধবার সেই প্রসঙ্গ উঠল দেশের শীর্ষ আদালতেও (Supreme Court)।
সন্তান দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছেন বাবা-মায়েরা, মনে করছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)
দেশের শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) শিশু পাচার সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি নাগারত্ন ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে আলোচনায় আসে দত্তক ইস্যু। বেঞ্চ জানায়, ভারতে শিশু দত্তক নেওয়া আজও বিরাট জটিল বিষয়। বর্তমান প্রক্রিয়া অত্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় অনেক নিঃসন্তান দম্পতিকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিচারপতিদের মতে, “দত্তক প্রক্রিয়া অনেকটাই দীর্ঘ। সন্তান পাওয়ার জন্য যেখানে বাবা-মায়ের উতলা হয়ে ওঠার কথা, সেখানে সন্তানকে দত্তক নিতে তিন থেকে সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।” এতে বাবা-মায়েরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে বলে মনে করছেন বিচারপতিরা।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে শিশু দত্তকের সংখ্যা সাড়ে চার হাজার ছুঁয়েছে। গত ১১ বছরে এটি সর্বাধিক। তবে এই সংখ্যাবৃদ্ধি স্থায়ী হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। কারণ আবেদন জমা দেওয়ার পর দম্পতিদের গড়ে তিন বছরের বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে দত্তক প্রক্রিয়াকে নির্ঝঞ্ঝাট ও সরল করা প্রয়োজন। তা নাহলে অনেকে আবেদন করলেও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে মাঝপথেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। ফলে শিশু দত্তক নেওয়ার হার আরও কমে যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ দশকর্মা ভাণ্ডারের আড়ালে বোমা মশলার ব্যবসা, ভগবানপুরে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মনে করছে দত্তক প্রক্রিয়া যতটা সহজ ও স্বচ্ছ হবে, ততটাই শিশুদের নতুন পরিবার পাওয়ার সুযোগ বাড়বে এবং নিঃসন্তান বাবা-মায়েদের জীবনেও ফিরে আসবে বাঁচার আলো।