হুমকি বাড়ছে? বিএলও-দের নিরাপত্তায় রাজ্যকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Published on:

Published on:

Supreme Court Flags Security Concerns for BLOs in Bengal
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-দের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, এই বিষয়ে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। কোনও সমস্যা বা হুমকির মুখে পড়লে বিএলও-রা সরাসরি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে ওঠে এই মামলা

SIR সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয় মঙ্গলবার। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলাকালীনই উঠে আসে বিএলও-দের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, রাজ্য সরকারের তরফে বিএলও-দের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি।

এই অভিযোগের জবাবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএলও-দের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন বলেন, কমিশনের চাপে বিএলও-রা আন্দোলনে নেমেছেন এমন অভিযোগ আদালতের (Supreme Court) কানে এসেছে। সিইও অফিস ঘেরাও পর্যন্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিচারপতি বলেন, বিএলও-দের কাজ শুধুই ডেস্কে বসে করার নয়। তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে চাপ অনেকটাই বেশি এবং তাঁরা মানসিক ও শারীরিকভাবে চাপে রয়েছেন।

মামলাকারীর আইনজীবীর আরও দাবি, রাজ্য সরকার পুরোপুরি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণেই বিএলও-দের সুরক্ষায় সিআরপিএফ মোতায়েনের দাবিতে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক চাপের অভিযোগও তোলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেন, বিএলও-রা এখন হুমকির মুখে রয়েছেন এবং বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে বলে কড়া বার্তা দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

Supreme Court

আরও পড়ুনঃ ‘আইন মানার বালাই নেই, বাস্তবে কী কাজ হচ্ছে?’, রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে কড়া প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার, কোন মামলায়?

অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও এদিন আদালতে (Supreme Court) ব্যাখ্যা দেয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, গড়ে প্রতিদিন একজন বিএলও-কে ৩৭ জন ভোটারের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। দিনে ৭ থেকে ৮টি বাড়ি ঘুরলেই সেই কাজ শেষ করা সম্ভব। তবে এই যুক্তিতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, বিএলও-দের উপর যেন কোনওভাবেই অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। তাঁরাই মূল কাজটা করছেন, বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং তা আপলোড করছেন। প্রয়োজনে বিএলও-র সংখ্যা বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন জানায়, বিএলও-দের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে তারা অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে চিঠি দেবে।