ছেলের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মা-বাবার! চন্দ্রচূড়ের এক রায়ে বদলে যায় সব! শেষদিনে নির্দেশ দেন…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের ৫০তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। গত ১০ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করেছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। এবার তাঁর এক রায় নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। কর্মজীবনের শেষ দিনে ছেলের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানানো এক মা-বাবার পাশে দাঁড়িয়ে বড় রায় দিয়েছেন এদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা।

  • কী রায় দিয়েছিলেন প্রাক্তন সিজেআই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)?

২০১১ সালে উত্তরপ্রদেশ নিবাসী হরিশ রানা নামের এক যুবক চারতলার বারান্দা থেকে পড়ে যান। মাথায় চোট লাগে তাঁর। ১৩ বছর আগে মোহালিতে ঘটেছিল এই দুর্ঘটনা। এরপর থেকে সে হাসপাতালে ভর্তি। বর্তমানে হরিশের বয়স ৩০। এতদিন ধরে লক্ষাধিক টাকা খরচ করেও ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি হরিশের বাবা-মা।

১৩ বছর ধরে প্যারালিসিস। ছেলের চিকিৎসার এত খরচ সামলাতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন হরিশের বাবা-মা। সর্বোচ্চ আদালতের কাছে সন্তানের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানান তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের কাছে তাঁদের আবেদন ছিল, হরিশের লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হোক। তাতে এমনিতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে সে। অর্থের অভাবে ছেলের চিকিৎসা না করতে পারার কষ্ট থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ রাতের ঘুম উড়ল সরকারি কর্মীদের! এবার কড়া হুঁশিয়ারি রাজ্যের … জোর শোরগোল!

নিজের কর্মজীবনের শেষ দিনে অসহায় এই মা-বাবার পাশে দাঁড়ান সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। নির্দেশ দেন, এই যুবকের চিকিৎসার খরচ অন্যভাবে কীভাবে বহন করা যায় সেটা সরকারকে দেখতে হবে। হরিশের মা-বাবা যেহেতু তাঁর চিকিৎসার খরচ চালাতে অপারগ, তাই এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। সেই সঙ্গেই তাঁর ওষুধের খরচও নিতে হবে তাঁদের।

CJI DY Chandrachud

এছাড়া যদি দরকার হয় তাহলে আরও উন্নত পরিষেবা রয়েছে এমন কোনও জেলা হাসপাতালে হরিশকে ট্রান্সফার করার নির্দেশও দেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি এই রায় দেওয়ার পরেই স্বেচ্ছামৃত্যুর (Euthanasia) আর্জি ফিরিয়ে নেন হরিশের মা-বাবা।

রিপোর্ট বলছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিজের কর্মজীবনের শেষদিনে উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেওয়া একটি স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। সেখানে জানানো হয়েছিল, ওই যুবককে হোম কেয়ার সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই রোজ ডাক্তার ভিজিট, ফিজিওথেরাপিস্ট এবং নার্সিং সাপোর্টের সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।

ad

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর