বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘তারিখ পে তারিখ’, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court Of India) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) মুখে নব্বইয়ের দশকের সানি দেওলের মুভির কিংবদন্তি সংলাপ। দ্রুত ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া! উল্টে সর্বোচ্চ আদালতেই ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ দেশের প্রধান বিচারপতির।
এদিন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আমরা চাই না আমাদের শীর্ষ আদালতও তারিখ পে তারিখ আদালতে পরিণত হয়ে যাক। তাহলে বিচারব্যবস্থার দ্রুত বিচার পাইয়ে দেওয়ার যে উদ্দেশ্য সেটাই সফল হবে না।” শুক্রবার বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
এই ইস্যুতেই তিনি বলেন এই ভাবে চলতে থাকলে শীর্ষ আদালতও ‘তারিখ পে তারিখ’ আদালত হয়ে যাবে। বিচারব্যবস্থায় ধীর গতি নিয়ে প্রধান বিচারপতির ক্ষোভ। পরিসংখ্যান দিয়ে বিচারপতি জানান, শুধু শুক্রবারই (৩ নভেম্বর) আইনজীবীদের কাছ থেকে মোট ১৭৮টি মামলা মূলতুবির আবেদন এসেছে।
আরও পড়ুন: ইডেনে পাশাপাশি বসে ম্যাচ দেখবে তৃণমূল-বিজেপি? স্পিকার ‘গরম-গরম’ টিকিট দিতেই যা কাণ্ড হচ্ছে…
শুধু তাই নয়, গত একমাসে এই সংখ্যাটা চমকে দেওয়ার মত। প্রধান বিচারপতি জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের এই একমাসেই মোট ৩,৬৮৮টি মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধ এসেছে আইনজীবীদের কাছ থেকে। বিচারপতি জানান, আইনজীবীদের তরফে বিষয়গুলি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উল্লেখ করা হলেও শুনানি স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিচারপতি বলেন, “এরম চলতে থাকলে দেশে আমাদের আদালতের খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি হবে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি দেশের সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।” তবে এর পাশাপাশি বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেটস-অন-রেকর্ড অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ তৎপরতায়, মামলা দায়ের এবং শুনানির জন্য তালিকাভুক্তির সময় বেশ অনেকটাই কমেছে।