বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রকে (Anukulchandra Chakravarty) পরমত্মা (ভগবান) ঘোষণা করার আবেদন নিয়ে মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India)! আর সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলায় কার্যত তোপের মুখে পড়লেন মামলাকারী। জানা যায়, উপেন্দ্রনাথ দলুই নামে এক ব্যক্তি সুপ্রিমকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। ওই ব্যক্তি উল্লেখ করেন যে, সৎসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা অনুকূল ঠাকুরকে ‘পরমাত্মা’ হিসেবে পরিচয় দিতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সুপ্রিমকোর্ট এই মামলা খারিজ করে দেয়।
দুইজন ভিন্ন ধর্মের বিচারপতিকে সঙ্গে নিয়েই গঠিত হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। এই দুজন বিচারপতি হলেন এমআর শাহ এবং রবিকুমার। তাঁরা বলেন ভারতবর্ষ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, এখানে সকল ধর্মের মানুষ এবং তাঁরা যে ঈশ্বরকে মানেন তাঁদের সকলকে সম্মান জানানো হয়। তবে এই ধরণের জনস্বার্থ মামলা করাটা ঠিক নয়, অর্থাৎ যেখানে জোর করে কাউকে পরমাত্মা বানানো ঠিক নয়। তাই জন্য এই মামলা যেই ব্যক্তি এনেছিলেন, উল্টে তাঁকেই এর জন্য ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
এই মামলার প্রসঙ্গে বিচারপতি শাহ বলেন যে, ভারতে সব ধর্মের মানুষদের সমান অধিকার রয়েছে, এই কারণেই ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। তাই কারোর ব্যক্তিগত বক্তব্য তাঁরা শুনতে বাধ্য নন। পাশাপাশি যাঁরা এই ধরণের মামলাকে দেশের উচ্চতম আদালতে পেশ করছেন এসব মামলা করলে তাঁদেরই ক্ষতি বলেও উল্লেখ করা হয় ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। আদালত বলে, এই ধরণের মামলার মাধ্যমে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয় যে, কোন ব্যক্তির ধর্ম পালন ও ঈশ্বরের প্রতি তার ভক্তি তার নিজের ইচ্ছে মতোই হবে। কেউ তাঁদের যেমন অন্য ধর্ম পালন করতে বাধ্য করতে পারে না, ঠিক তেমনই জোর করে কাউকে ঈশ্বর বানাতে পারে না। অনুকূল ঠাকুর তাঁর ভক্তদের কাছে ঈশ্বর হলেও তাঁর ভক্তরা জোর করে তাঁদের মতবাদ কারোর ওপর দিয়ে দিতে পারেন না।