বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিরোধীদের একাধিক প্রতিবাদ সত্ত্বেও দেশের বুকে চলবে ইডির (ED) অ্যাকশন। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের (PMLA) অধীনে গ্রেফতারি থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) এই নির্দেশ দেশের রাজনীতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশে বিরোধী দলগুলিকে কোণঠাসা করার জন্য বিজেপি সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে চলেছে, বর্তমান সময়ে এভাবেই কেন্দ্র সরকারের দিকে অভিযোগ করে আসে বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি পিএমএলএ আইনের অধীনে ইডির ক্ষমতা প্রসঙ্গে একাধিক মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। তবে এদিন অধিকাংশ মামলাই খারিজ হয়ে গিয়েছে উচ্চ আদালতে।
উল্লেখ্য, এদিন সকলের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। উচ্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে দাবি করা হয় যে, গ্রেফতারের কারণ না জানিয়ে কাউকে হেফাজতে নেওয়া নিয়মের বাইরে তথা ‘অসংবিধানিক’। তবে সেই মামলাটিও এদিন খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, “গ্রেফতারি থেকে শুরু করে কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত কিংবা অন্যান্য যেকোনো ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রয়েছে ইডির। এক্ষেত্রে গ্রেফতারের কারণ জানানো বাধ্যতামূলক নয়।”
এই রায় প্রকাশ হওয়ার পর এদিন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানান, “সুপ্রিমকোর্ট আজ তাদের রায় দিয়েছে। পিএমএলএ আইনের অধীনে ইডির সকল ক্ষমতাকে বহাল রেখেছে উচ্চ আদালত এবং আমাদের সকলের উচিত আদালতের এই নির্দেশকে সম্মান জানানো।” এদিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের মাধ্যমে ইডির বড় জয় হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।