বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজ শুরু হওয়া এবং এই প্রকল্প বাবদ বকেয়া টাকা রাজ্যের হাতে আসা নিয়ে ফের জট ঘনিয়েছে। নয়া জটিলতার কেন্দ্রবিন্দুতে এবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নতুন চিঠি। একমাসের মধ্যে বিস্তারিত ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ চেয়ে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। আর সেই চিঠিতেই নবান্নের (Nabanna) অস্বস্তি আরও বাড়ছে।
কেন্দ্রের নতুন চিঠি নিয়ে ক্ষুব্ধ নবান্ন
সূত্রের খবর, রাজ্য প্রশাসনের বড় অংশ মনে করছে এটি স্পষ্টভাবেই সময় নষ্টের চেষ্টা। কেন্দ্র একদিকে বকেয়া টাকা না ছাড়ার অজুহাত তৈরি করছে, অন্যদিকে নতুন করে ১০০ দিনের কাজ শুরু করার প্রক্রিয়াতেও বিলম্ব ঘটাচ্ছে। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রের ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’-এর উত্তর রাজ্য দেবে বলেই জানানো হয়েছে। কিন্তু শীর্ষমহলের ধারণা, আরও একবার ব্যাখ্যা পাঠালেও কেন্দ্র সন্তুষ্ট হবে না।
নবান্নের (Nabanna) দাবি, এর আগেও বহুবার এরকম চিঠির উত্তর পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১৪০-রও বেশি কেন্দ্রীয় দল এসে পরিস্থিতি খতিয়ে গিয়েছে। তারা তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে মন্ত্রকে। আদালতেও রাজ্যের পক্ষে মত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে হবে রাজ্যে। এতকিছুর পরেও ফের রিপোর্ট দাবি করা কেন্দ্রের স্পষ্ট ‘মাইন্ডসেট’ বলেই মত নবান্নের।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই কি আসল কারণ?
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সামনে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে চায় বিজেপি। তাই ১০০ দিনের কাজ এবং বকেয়া টাকা নিয়ে ‘টানাটানি’ জারি রাখছে কেন্দ্র। ভোটের আগে উন্নয়নমূলক কর্মসূচিকে আটকে রাখতে চাইছে বলেই মত তাদের।
নবান্ন জানিয়েছে, এ নিয়ে বহুবার ব্যাখ্যা পাঠানো হয়েছে। এখন আবার ‘স্বচ্ছতা’ ও আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতের কথা বলে রিপোর্ট চাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।” নবান্নের (Nabanna) মতে, এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক দাবি।
নবান্নের (Nabanna) মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের জানিয়েছে রাজ্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাদের দাবি, প্রকল্পে অনিয়ম নিয়ে পরিষ্কার রিপোর্টই চাওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেই এই পদক্ষেপ। তবে নবান্ন মনে করছে, এটি আদতে দেরি করানোর কৌশল।

আরও পড়ুনঃ নাবালক-নাবালিকাদেরও আগাম জামিনের অধিকার, চার বছরের লড়াই শেষে ঐতিহাসিক রায় দিল হাই কোর্ট
একদিকে আদালতের (Supreme Court) নির্দেশ, অন্যদিকে কেন্দ্র-রাজ্যের তীব্র টানাপোড়েন, এই অবস্থায় ১০০ দিনের কাজ কবে শুরু হবে এবং বকেয়া কোটি কোটি টাকা কবে হাতে পাবে রাজ্য, সেই নিয়েই এখন বড় সংশয়।












