বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের পর একমাস অতিক্রান্ত। এর আঁচ এসে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায়। বিগত প্রায় একমাস ধরে কর্মবিরতি চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। একাধিকবার কাজে ফেরার কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁরা নিজেদের দাবিতে অনড়। এই আবহে এবার আরজি কর মামলার শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল আদালত (Supreme Court)
গত রবিবার রাতে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া অবধি প্রতিবাদ চলবে। সোমবার আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিল শীর্ষ আদালত। স্পষ্ট জানানো হল, মঙ্গলবার তথা আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ফের কাজে ফিরতে হবে তাঁদের।
- শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য!
এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি জানানো হয়, ওই সময়সীমার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকরা যদি কাজে না ফেরেন, তাহলে রাজ্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে। একইসঙ্গে এও জানানো হয়, রাজ্যকেই ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এদিন আদালতে আন্দোলনকারীর চিকিৎসকদের হয়ে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী গীতা লুথরা।
আরও পড়ুনঃ ‘ডু ইউ লাইক ইট?’ পুরুষ নার্সের গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টা! সন্দীপের ‘কীর্তি’তে তোলপাড়
প্রতিবাদরত ডাক্তারদের আইনজীবী বলেন, কলকাতার পাশাপাশি নানা জেলা হাসপাতালেও জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) হুমকির মুখে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা যদি না হয় তাহলে তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। কর্মবিরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিনিয়র চিকিৎসকরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই পরিষেবা ব্যাহত হয়নি।
একথা শুনে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, প্রায় এক মাস ব্যাপী এক কর্মবিরতির কারণে ইতিমধ্যেই প্রায় ২৩ জন মানুষ মারা গিয়েছেন। প্রায় ৬ লক্ষ রোগী সংকটে। আহত পুলিশকর্মীদের চিকিৎসা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে ভয়ানক অবস্থা! রাজ্য এবার তাঁদের কাজে ফেরাতে পদক্ষেপ নিতে চায় বলে জানান সিব্বল। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) অনুমতি চান তিনি।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্যকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। কাজ করবেন জেলাশাসক, এসপিরা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে পুনরায় কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের। যদি না ফেরেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে রাজ্য।