রবীন্দ্র ভারতীতে সোনালি, কোচবিহারে সঞ্চারী, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের

Published on:

Published on:

Supreme Court

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন। অবশেষে সেই বিতর্কে হস্তক্ষেপ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশ দিল, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করতে হবে। আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে আদালতের তরফে।

শুধু তাই নয়, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদেও নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সেখানে রাজ্য সরকারের পাঠানো তালিকার প্রথম প্রার্থী সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়কেই নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাকি নিয়োগ বাছাই করবেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় ললিত

বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যের বাকি ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় ললিত। তিনিই আগামী দিনে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত প্রার্থীর নাম বেছে নেবেন এবং তা জানাবেন সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court)।

আদালতের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৯টিতে উপাচার্য নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বাকি ১৭টি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনিক জটিলতা। সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র ভারতী-সহ একাধিক নামী প্রতিষ্ঠান।

Supreme Court Orders VC Appointments

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! পুলিশের জালে ২

নজর বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই নির্দেশের ফলে, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অন্তত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের পথ সুগম হল। এখন নজর, বাকি ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হাই পাওয়ার সিলেকশন কমিটির সিদ্ধান্তের দিকে। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, যোগ্যতার ভিত্তিতে দ্রুত নিয়োগ হোক, রাজ্য ও রাজ্যপালের দ্বন্দ্বে শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি যেন না হয়।