ফাঁসির বদলে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন? সুপ্রিম কোর্টে মোদী সরকারের ‘না’, তুঙ্গে বিতর্ক

Published on:

Published on:

Supreme Court questions government’s stand on lethal injection as alternative to hanging

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি বদলাবে কি? এই নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার নতুন করে আলোচনায় এল এই প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি পদ্ধতি বদলের কথা ভাবার সময় এসেছে।

শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) কি জানিয়েছে মামলাকারী?

মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা জানান, “অন্তত বন্দিদের বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক তারা চাইলে ফাঁসির বদলে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন বেছে নিতে পারেন।” তিনি দাবি করে বলেন, এই পদ্ধতি মানবিক এবং দ্রুত। তিনি বলেন, “ফাঁসি অত্যন্ত নৃশংস, বর্বরোচিত এবং দীর্ঘস্থায়ী। প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনে মৃত্যু দ্রুত হয়।” তিনি আরও যুক্তি দিয়ে বলেন সেনাবাহিনীতেও বিকল্প মৃত্যুদণ্ডের অপশন দেওয়া হয়।

কেন ইঞ্জেকশনকে মানবিক মনে করা হচ্ছে?

মামলাকারীদের বক্তব্য, ফাঁসির সাজায় কমপক্ষে ৪০ মিনিট সময় লাগে, ফলে মৃত্যুর আগে বন্দি চরম যন্ত্রণা পান। তাই তাঁরা প্রস্তাব দেন, প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন, বৈদ্যুতিক শক বা গ্যাস চেম্বারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক, যা কয়েক মিনিটেই কার্যকর হয়। তাঁরা আরও জানান, আমেরিকার ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ৪৯টিতেই ইতিমধ্যেই প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।

যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানানো হয়েছে, এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের তরফে পেশ করা হলফনামায় বলা হয়, বন্দিদের বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত রয়েছে গুরুতর নীতিগত প্রশ্ন। তাই ফাঁসির পরিবর্তে নতুন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।

Kolkata Municipal Corporation Faces Financial Questions Over Puja Hoarding Revenue

আরও পড়ুনঃ হোর্ডিং থেকে কোটি কোটি টাকা আয়, তবু পুরসভার ভাগ শূন্য! খোদ TMC কাউন্সিলরের প্রশ্নে অস্বস্তিতে মেয়র ফিরহাদ

বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ থেকে জানানো হয়“সমস্যা হল সরকার বিবর্তনের জন্য প্রস্তুত নয়। এটা একটা অত্যন্ত পুরনো পদ্ধতি (ফাঁসি)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু বদলেছে।” আদালতের (Supreme Court) এই মন্তব্যে আবারও আলোচনায় আসে মৃত্যুদণ্ডের মানবিক রূপান্তর। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১১ নভেম্বর।