৬ মাসে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত শেষ করতে হবে, অয়ন শীলের জামিন খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Published on:

Published on:

Supreme Court rejects Ayan Shil's bail

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অভিযুক্ত অয়ন শীলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ছ’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিনের আর্জি জানান অয়ন শীলের আইনজীবী

অয়ন শীলের আইনজীবী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিনের আর্জি জানান। তাঁর বক্তব্য, “মোট ১৬টি পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। একটি পুরসভার তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। একটি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। কবে এই তদন্ত শেষ হবে, তার কোনও ঠিক নেই। দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যে ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে, সেই ভাবেই শর্তসাপেক্ষে অয়নকেও জামিন দেওয়া হোক।” কিন্তু আদালত (Supreme Court) তা মানেনি। বিচারপতির মন্তব্য, “ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। হাজার হাজার যুবকের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।”

সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে (Supreme Court) জানানো হয়, তদন্ত এখনও চলছে। একাধিক তথ্য উঠে আসছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী বলেন, “ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত অনেক তথ্য উঠে আসছে।” বিচারপতিরা জানতে চান, কত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করা সম্ভব। অয়নের আইনজীবী আবেদন করেন, তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হোক সিবিআইকে। কিন্তু আদালত শেষ পর্যন্ত ছ’মাস সময় দেয়।

প্রথমে স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। পরে তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু ওএমআর শিট। সেখান থেকেই পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র পায় তদন্তকারীরা। জানা যায়, অয়নের সংস্থা পুর নিয়োগের ক্ষেত্রে ওই ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্বে ছিল। এর আগেও কলকাতা হাই কোর্ট তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করেছিল।

Supreme Court rejects Ayan Shil's bail

আরও পড়ুনঃ দুর্গোৎসব শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত দিতে হবে পার্ক, কড়া নির্দেশ জারি করে জানাল পুরসভা

সুপ্রিম কোর্ট‌(Supreme Court) জানিয়েছে, আপাতত অয়ন শীলকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ছ’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করবে সিবিআই। ছ’মাস পরে ফের জামিনের আবেদন করা যাবে। তখন আদালত আবেদনটি নতুন করে বিবেচনা করবে। আদালত এ দিন মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদনও মঞ্জুর করেছে।