‘ভালো রাস্তায় হাঁটা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার’, সরকারকে কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

Published on:

Published on:

Supreme Court says safe and walkable roads are part of citizens’ fundamental rights

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিরাপদ, সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষিত এবং যান চলাচলের উপযোগী রাস্তা পাওয়া নাগরিকদের সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে বেঁচে থাকার অধিকারের অংশ, সম্প্রতি এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালতের মতে, রাজ্য সরকারের উচিত রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কোনও বেসরকারি সংস্থার উপর ছেড়ে না দিয়ে নিজেদের হাতেই রাখা।

রিট পিটিশন নিয়ে শুনানিতে রাস্তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)

গতকাল অর্থাৎ ৩০ জুলাই একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই পর্যবেক্ষণ করে। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চে মধ্যপ্রদেশ সরকারের দায়ের করা একটি রিট পিটিশন নিয়ে শুনানি হচ্ছিল। রাজ্য সরকার একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিট পিটিশন দাখিল করেছিল, কারণ ওই সংস্থাকে রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং অভিযোগ উঠেছিল দায়িত্ব পালনে গাফিলতির। সংস্থাটি দাবি করে, সরকারের পক্ষে কোনও বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের করা যায় না।

তবে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যেহেতু সরকারই রাস্তার দায়িত্ব দিয়েছে, তাই তারা অবশ্যই পিটিশন করতে পারে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টে যায়, কিন্তু শীর্ষ আদালত (Supreme Court) হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।

এর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) আরও জানায় যে, মধ্যপ্রদেশ হাইওয়েজ অ্যাক্ট ২০০৪ অনুযায়ী, রাস্তার নির্মাণ, সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আদালতের মতে, দেশের যেকোনো প্রান্তে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করাও এক ধরনের মৌলিক অধিকার (সংবিধানের ১৯(১)(জি)-এর অধীন)।

Supreme Court says safe and walkable roads are part of citizens’ fundamental rights

আরও পড়ুনঃ বাড়ি ভর্তি ভুয়ো নথি, কলকাতায় পুলিশের জালে শান্তা পাল, আর কি কি পাওয়া গেল?

অতএব, এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে রাজ্য যেন আউটসোর্সিংয়ের উপর অতিরিক্ত নির্ভর না করে, বরং নিজস্ব কর্পোরেশনের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে, এদের মামলার শুনানিতে এমনটাই সুপারিশ করে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।