বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে আবারও রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নন্দীগ্রাম। দেবব্রত মাইতি খুন মামলায় বড় পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তৃণমূলের সেখ সুফিয়ান, আবু তাহের, শাহাবুদ্দিনসহ মোট ৪২ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। নোটিস ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে।
সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
গত ১০ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করে সিবিআইয়ের আইনজীবী মুকেশ কুমার জানান, দেবব্রত মাইতি খুন মামলাটি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হোক। এরপর ১৯ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্ট নোটিস জারি করে জানায় অভিযুক্তরা চাইলে এক মাসের মধ্যে আদালতে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। একই সঙ্গে আদালত জানতে চেয়েছে, কেন মামলাটি স্থানান্তর করা হবে না, সেটাও ব্যাখ্যা করতে হবে।
নোটিস হাতে পাওয়ার পর নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ান বলেন, “এটা বিজেপির চক্রান্ত। যাতে হলদিয়া কোর্টে সাক্ষী প্রক্রিয়া শুরু না হয়। শুভেন্দু অধিকারীর কারচুপি। ভোটের আগে পুরনো মামলা রিওপেন করে চাপ তৈরি করা হচ্ছে।” অন্য তৃণমূল নেতা আবু তাহেরও বলেন, “ভোটের আগে পরিকল্পনা করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য করে বলেন, “আদালত ঠিকই বলেছেন। খুনের আসামিরা নন্দীগ্রামে হুমকি দিচ্ছে, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সিবিআই যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, এ ধরনের খুন থামবে না।”

আরও পড়ুনঃ SIR রিপোর্টে চাঞ্চল্য! উত্তর ২৪ পরগনার ২১ লক্ষ মৃত ভোটার, দ্বিতীয় স্থানে কোন জেলা?
নন্দীগ্রাম–১ ব্লকের তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন “বিজেপি অগণতান্ত্রিক ভাবে প্রবল শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিধানসভা দখল করার জন্য।” অন্যদিকে দেবব্রত মাইতির স্ত্রী জানান, “সিবিআই ভালো কাজ করছে। আমি চাই, যারা জড়িত তারা শাস্তি পাক।”












