বাংলার জেলে গর্ভবতী হয়ে পড়ছেন মহিলা কারাবন্দিরা! অভিযোগ শুনে বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : জেলে মহিলা কারাবন্দিদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে তোলপাড় গোটা দেশ। আর এবার এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মহিলা বন্দীদের গর্ভবতী (Women Prisoners Are Getting Pregnant) হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ঘটনাটি মূলত সকলের সামনে আনেন আইনজীবী তাপস ভঞ্জ ও আইনজীবী কল্লোল গুহঠাকুরতা। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে মহিলা কারাবন্দিদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনাটি উঠে আসে। বাংলার জেলে মোট ১৯৬ জন মহিলা কারাবন্দি মা হয়েছেন বলে খবর।

সূত্রের খবর, এই ১৯৬ জন শিশুর মধ্যে অনেকেই আবার নিয়মিত স্কুলেও যাতায়াত করে থাকে। এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। কীভাবে এই ঘটতে পারে সেই প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী তাপস কুমার ভঞ্জ এবং আইনজীবী কল্লোল গুহ ঠাকুরতা। বাইরের পুরুষরা যাতে জেলের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে তার আবেদন জানিয়েছেন এই দুই আইনজীবী।

আরও পড়ুন : আতঙ্কের দ্বিতীয় নাম ‘এল নিনো’, গরমের সমস্ত রেকর্ড ছাড়াবে ২০২৪, কী বলছে আবহাওয়াবিদরা?

বিষয়টি যে সত্যিই স্পর্শকাতর এবং গুরুতর তা অস্বীকার করতে পারেননি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও। হাইকোর্ট থেকে তিনি মামলাটি পাঠান ফৌজদারি কোর্টে। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী কল্লোল গুহঠাকুরতা জানান, ‘কিছুদিন আগে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে ভিজিটে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা বন্দির খোঁজ পাওয়া যায়। কলকাতার মতো জায়গায় মহিলা বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া জেলের নিরাপত্তার দিকটি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়।’

আরও পড়ুন : জ্বলছে সন্দেশখালি, চার দিন পর নীরবতা ভাঙলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

woman in jail

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ার পরে শীর্ষ আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর একটি বেঞ্চ সিনিয়র আইনজীবী গৌরব অগ্রবালকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং তার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর