বাংলা হান্ট ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ ছাড়া পেলেন হাসপাতাল থেকে৷ বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাঁরা ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় আজ সকালে তাঁদের দু’জনকে হাসপাতালে দেখতে যান। তিনি হাসপাতালে পৌঁছান সকাল 10টা 10-এ৷ বেরিয়ে যান 10টা 40 নাগাদ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্থার ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তারপর তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় আজ হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি উপাচার্যকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতেই আছেন। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু আজ একথা জানালেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবিভিপির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তখন তাকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা এমনকি বিক্ষোভ দেখানোও শুরু করেন তারা। ঘটনাচক্রে যাদবপুরে পড়ুয়ারা চেঁচামেচি করেন যে কোনমতেই বাবুলকে ঢুকতে দেওয়া হবে না যাদবপুর ক্যাম্পাসে। শুধু তাই নয় বাবুলের চুল জামা ধরে টানাটানি শুরু করেন সকলে। ‘বাবুল গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। ধাক্কাধাক্কিতে বাবুল একবার পড়েও যান।
ঘটনাচক্রে পরিস্থিতি এমনই অপ্রীতিকর হয়ে ওঠে সেখানে হাজির হন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি বাবুলকে তাঁর ঘরে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু আসানসোলের সংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি যে কাজের জন্য এসেছেন তা পূরণ করবেনই। সংগঠকরা দাবি জানিয়েছেন যে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই বাবুলকে এদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি তে। পরে উপাচার্যের মধ্যস্থতায় সভামঞ্চে পৌঁছন বাবুল। যদিও এরপরে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস অসুস্থ হয়ে পড়েন, একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আজ উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে দেখতে হাসপাতালে যান জগদীপ ধনকড়।