আমাকে ছেড়ে দিন, আর আজাদী চাইবো না: বলছে আলগাবাদী নেতা

জম্মু ও কাশ্মীরে ধারা ৩৭০ নিষ্ক্রিয় হওয়ার পরে আটক শীর্ষ নেতাদের মধ্যে হুরিয়াত সম্মেলনের নেতা মীরওয়াইজ উমর ফারুক মুক্তির জন্য বন্ড স্বাক্ষর করেছেন। এই বন্ডের অনুযায়ী, মিরওয়াইজ জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। মিরওয়াইজ উমর ফারুক ছাড়াও ন্যাশনাল কনফারেন্স এর আরো দুই নেতা (উভয় প্রাক্তন বিধায়ক), পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও পিপলস কনফারেন্সের প্রত্যেকে একজন এবং এই বন্ডে স্বাক্ষর করেছেন। এরা আটক হওয়া  36 জন ব্যক্তির মধ্যে, যাদের আটক করার পর সেন্টার হোটেলে রাখা হয়েছিল।

 

 

images 2019 09 21T185128.561

আসলে, জম্মু ও কাশ্মীর সরকার সমস্ত নেতাদের এই সরকারী বন্ডে স্বাক্ষর করতে বলেছিল। কিন্তু কিছু নেতারা প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছিলেন এবং কেউ কেউ স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। যে নেতারা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তারা হলেন, পিপলস কনফারেন্সের সভাপতি সাজ্জাদ লোন, পিডিপি যুব শাখার নেতা ওয়াহিদ পাড়া এবং আমলা-রাজনীতিবিদ শাহ ফয়সাল।

received 2578854212137444

জানিয়ে দি, জম্মু-কাশ্মীরে ৫ আগস্ট নেওয়া সিধান্ত এর পর থেকে ১০০০ এর বেশি রাজনৈতিক ব্যাক্তি, বিচ্ছিনবাদী নেতা, আইনজীবীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। এড মধ্যে রাজ্যের ৩ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আব্দুল্লাহ, উমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিও রয়েছেন। প্রায় ১০০ জনকে জম্মু-কাশ্মীরের বাইরের জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকে PSA অর্থৎ পাবলিক সেফটি এক্ট অনুযায়ী বন্দি করা হয়েছে। ফারুক আব্দুল্লাহ ৫ আগস্ট থেকে নিজের বাড়িতে গৃহবন্দি ছিলেন। কিন্তু এখন উনাকে PSA এক্ট এর আওতায় গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে। রবিবার দিন উনাকে PSA এর অধিনিয়মে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে। এই আইনে কোনও বিচার ছাড়াই টানা দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

 

সরকারের বন্ডে সাক্ষর করলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা ছাড় পাবেন। তবে বন্ডে স্বাক্ষর করার পর তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন না। বন্ডের চুক্তি ভাঙলে ওই ব্যক্তিকে আবার গ্রেফতার করা হবে। জানিয়ে দি, জম্মু-কাশ্মীর এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কাশ্মীরি সন্ত্রাসীদের উত্সাহ দমন করতে এবং পাথর ছোঁড়াতে বাধা প্রদান করতে বেশকিছু রণনীতি তৈরি করা হয়েছে।

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে এই রণনীতি গুলি তৈরি করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ও পাথরের বিরুদ্ধে সমস্ত পদক্ষেপের একটি পদক্ষেপ হ’ল যে সন্ত্রাসী ও পাথরবাজি যারা নিজের জেলার কারাগারে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছিলেন তাদের এখন অনেক রাজ্য পেরিয়ে অন্য রাজ্যের কারাগারে প্রেরণ করা। তাদের বাড়ি থেকে অনেক দূরের জেলে পাঠানো হচ্ছে।  এর মধ্যে সর্বাধিক সন্ত্রাসী উত্তর প্রদেশের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকার জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সকল প্রয়াস করছে এবং তাতে সাফল্যও মিলেছে।

সম্পর্কিত খবর