কিছুতেই নেই ছাড়! “দরকার হলে গান্ধী পরিবারের সম্পত্তির হিসাব চাইব”, বললেন বিচারপতি গাঙ্গুলি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্য-রাজনীতিতে এখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকেই সকলের নজর রয়েছে। একের পর এক “সাহসী” সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন এই বিচারপতি। এমতাবস্থায়, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলা চলাকালীন সেখানে চলে এল গান্ধী পরিবারের প্রসঙ্গও।

মূলত, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমস্ত সম্পত্তির হিসেব ইতিমধ্যেই হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই শুনানির পরিপ্রেক্ষিতেই এবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। রাজ্যের মন্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব জানতে চাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “দরকার হলে গান্ধী পরিবারেরও সম্পত্তির হিসেব চাইতে পারি।”

শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তির হিসেব নিয়ে সরাসরি প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীর এত টাকার উৎস কী? তাঁরা কোথায় পান এত টাকা?” এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলা চলাকালীন হঠাৎ গান্ধী পরিবারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করায় অবাক হয়ে যান সকলেই।

যদিও, আইনজ্ঞরা মনে করছেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও গান্ধী পরিবারের প্রসঙ্গ উপস্থাপনের মাধ্যমে মূলত রাজনীতিতে থেকে নেতানেত্রীর একাংশের আর্থিক প্রতিপত্তির বিষয়টিই তুলে ধরতে চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বিচারপতি হয়তো এটাও বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি যে শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যই এটা বলছেন তা নয়। বরং, তাঁর এটা মৌলিক নীতিগত অবস্থান। আর তার ফলেই কখনও সুযোগ হলে গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রেও তিনি এই প্রশ্ন তুলতে পারেন।

Partha Chatterjee 621x414 3

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন একটি বহুজাতিক সংস্থার বড় পদে চাকরি করতেন। যদিও, সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে যোগদান করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কয়েক মাস আগেই সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি কী চাকরি করতাম অনেকেই জানেন। সেটা ছেড়ে আসতে গেলে ভাবতে হয়। কিন্তু, আমি সেটা করেছিলাম। স্বেচ্ছাবসর নিয়ে আসিনি।” পাশাপাশি, সেই সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে, কিছু কাজে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি হয়তো হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু তিনি কোনোরকম দুর্নীতিতে যুক্ত নন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর