শ্রমশ্রীতে বাধ্যতামূলক অ্যাকাউন্ট যাচাই, ভুয়ো আবেদন রুখতে নতুন নির্দেশ নবান্নের

Published on:

Published on:

Surveillance launched in Shramashree Prakalpa to prevent fake applications

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ফেরত আসা বা কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হয়েছে বিশেষ প্রকল্প ‘শ্রমশ্রী’ (Shramashree Prakalpa)। সম্প্রতি সেই প্রকল্প নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের নির্দেশ দিল নবান্ন (Nabanna)। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জেলাশাসকদের জানালেন, যাঁরা এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুঁটিয়ে যাচাই করতে হবে।

প্রকল্প (Shramashree Prakalpa) নিয়ে চাপ বাড়ছে প্রশাসনের

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। শ্রম দপ্তরের অনুমান, গোটা রাজ্যে কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এই প্রকল্পে (Shramshree Prakalpa) নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। ফলে প্রশাসনের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে।

প্রকল্পের (Shramashree Prakalpa) নিয়ম কী?

‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প (Shramashree Prakalpa) অনুযায়ী, রাজ্যে ফিরে আসা বা কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকরা এক বছরের জন্য মাসে ৫০০০ টাকা করে পাবেন। অর্থাৎ এক বছরে একজন শ্রমিক সর্বাধিক ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত সরকারি আর্থিক সাহায্য পাবেন। এই টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে দেওয়া হবে, তাই ভুয়ো আবেদন বন্ধ করার জন্যই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন চালু করা হচ্ছে। জেলার শ্রম দপ্তরের এবং জেলা প্রশাসন একযোগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকবে।

Surveillance launched in Shramashree project to prevent fake applications

আরও পড়ুনঃ দিল্লির রাজনীতিতে কূটনীতির গন্ধ! চিন-রাশিয়া সফর থেকে ফিরেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক মোদীর, আলোচনা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত এই প্রকল্পে (Shramashree Prakalpa) যাতে কোনও দুর্নীতি বা জালিয়াতি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই নবান্নের এই কড়াকড়ি। সরকারের আশা, প্রকৃত উপভোক্তার হাতে সঠিক সময়ে পৌঁছবে ‘শ্রমশ্রী’র আর্থিক সহায়তা।