বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশের ৫৩তম প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সূর্য কান্ত। বর্তমান প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের সুপারিশে তাঁর নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারপতি সূর্য কান্তের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৩ নভেম্বর অবসর নেবেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই। তার পরের দিন অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি লেখেন, সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সূর্য কান্তকে দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করেছেন।
শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি হলেন সূর্য কান্ত
বিচারপতি হিসেবে প্রায় দুই দশকের কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক রায়ের সাক্ষী হয়েছে বিচারব্যবস্থা। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য হিসেবে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর ৩৭০ ধারা বাতিলের সাংবিধানিক বৈধতা প্রদানকারী রায় ছিল তাঁর অন্যতম আলোচিত সিদ্ধান্ত। পেগাসাস ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার মামলায়ও নজরকাড়া ভূমিকা ছিল তাঁর। একইসঙ্গে ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন—আইপিসি ১২৪এ—বাতিলে তাঁর এজলাস গুরুত্বপূর্ণ নজির সৃষ্টি করে। ‘জাতীয় নিরাপত্তা’কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত এড়ানো যাবে না, এমন ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণও দেন বিচারপতি সূর্য কান্ত।
আরও পড়ুন: ‘গোটা প্রক্রিয়াই আদালতে নজরদারি চলুক’, SIR নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান সিজেআই অবসরের প্রায় একমাস আগে উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করেন। সেই নিয়ম মেনেই গত সপ্তাহে বিচারপতি গাভাই বিচারপতি সূর্য কান্তের নাম সুপারিশ করেছিলেন। সেই সুপারিশেই শেষমেশ সিলমোহর দিল রাষ্ট্রপতি ভবন। বিচারপতি সূর্য কান্ত বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় প্রবীণ বিচারপতি। নির্ধারিত সময় মেনে সবকিছু হলে তিনি প্রায় এক বছর দুই মাস দেশের বিচারব্যবস্থার সর্বোচ্চ আসনে থাকবেন।

আরও পড়ুন:আগেই হারিয়েছেন চাকরি! এবার চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের জন্য জারি হল কড়া নির্দেশিকা
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বে আগামী দিনে বিচার প্রশাসন নতুন দিশা পাবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আইন মহল ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সংবিধান ও নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত যে সব বড় বিতর্ক সামনে এসেছে, তাতে বিচারপতি সূর্য কান্তের বিচারদর্শন দেশের গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মঞ্চ তৈরি করবে। দেশের বিচারিক কাঠামোয় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে তাঁর নেতৃত্ব এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।













