বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যুর পর তিন মাসের বেশি কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত এই মামলার কোনো ফয়সালাই হয়নি। সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি খুন হয়েছিলেন না তাঁকে আত্মহত্যার জন্য কেউ প্ররোচনা দিয়েছিল এই সব বিষয়ই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
এখনো পর্যন্ত তদন্তে এটা জানার চেষ্টা চলছে যে ৮ জুন রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কি কি হয়েছিল। এরই মাঝে জানা গিয়েছে রিয়া চলে যাওয়ার পর দিদি মীতু সিংকে (meetu singh) ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন অভিনেতা।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর পাঁচ দিন আগে দিদি মীতুকে ফোন করেছিলেন সুশান্ত। ফোনে তিনি বলেছিলেন, “আমার ভয় করছে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে”। সুশান্ত আরও বলেছিলেন, তিনি রিয়াকেও অনেকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। দিদিকে তিনি ফোনে বলেছিলেন, “আমার ওর সঙ্গে কথা বলা জরুরি কারণ আমার ভয় ওরা আমাকে কোনো কিছুতে ফাঁসিয়ে দেবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিও একই রকমের বয়ান দিয়েছিলেন সিবিআই এর কাছে। তিনি বলেছিলেন, “দিশার মৃত্যুর খবর শুনে সুশান্ত অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। জ্ঞান ফিরতে উনি বলেন, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। নিজের সুরক্ষা বাড়ানোর কথাও বলেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, রিয়াকেও বারবার ফোন করছিলেন। কারণ তাঁর ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ, ক্যামেরা সবই নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়া। সেগুলোর পাসওয়ার্ডও জানতেন তিনি।”
প্রসঙ্গত, মাদক মামলায় এখনো জেলেই দিন কাটাচ্ছেন রিয়া চক্রবর্তী। রিয়ার জামিনের আর্জি ফের খারিজ করে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। ফলে এখনি জেল থেকে মুক্তির আশা নেই অভিনেত্রীর। তবে রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক, সুশান্তের ম্যানেজার দীপেশ সাওয়ান্তকে ফের জেরা করার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছে NCB।
রিয়ার দাবি, কেদারনাথ ছবির শুটিংয়ে নাকি নেশা করেই থাকতেন সুশান্ত ও সারা আলি খান। এর আগেই মাদক মামলায় সারার নাম নিয়েছিলেন রিয়া। সেই সূত্রে চলতি সপ্তাহেই সারা, শ্রদ্ধা কাপুরকে ডেকে পাঠাতে পারে NCB। আজ NCBর জেরার মুখে পড়েছেন জয়া শাহ ও রিয়ার ম্যানেজার শ্রুতি মোদী।