বাংলাহান্ট ডেস্ক: আত্মহত্যার আগে সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) গুগলে সার্চ করেছিলেন, কিভাবে বিনা যন্ত্রণায় মৃত্যু হয়। মুম্বই পুলিসের (mumbai police) তদন্তে উঠে এসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সোমবার সুশান্ত মামলায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুম্বই পুলিস কমিশনার পরমবীর সিং।
তদন্তের বিষয়ে অনেক তথ্যই এদিন মিডিয়ার সামনে আনেন মুম্বই পুলিস কমিশনার। তবে তিনি জানান যে তারা এখনও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছননি যে এই মামলা বিহার থেকে মুম্বইতে নিয়ে আসা হবে কিনা। বিহার পুলিসের এখনই এই মামলায় তদন্ত করার অধিকার নেই বলে জানান তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে কি কি জানালেন পুলিস কমিশনার পড়ুন-
১৪ জুন নিজের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করার আগে প্রায় দু ঘন্টা ধরে নিজের নাম ও নিজের সম্পর্কে গুগলে সার্চ করেন সুশান্ত। এছাড়াও বাইপোলার, বিনা যন্ত্রণায় মৃত্যু এধরনের বিষয়ও গুগলে সার্চ করেন তিনি।
দু বার রিয়া চক্রবর্তীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এর থেকে জানা যায়, রিয়া ও সুশান্তের সম্পর্কে তিক্ততা দেখা গিয়েছিল। বয়ানে সুশান্তের সঙ্গে আলাপ হওয়া, তিনি কেমন মানুষ ছিলেন সেসব বলেন রিয়া। সুশান্তের সঙ্গে ইউরোপ টুর এর কথাও জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁকে। এছাড়া রিয়া জানান, সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না।
৮ জুন রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তকে একা রেখে চলে যান কারন তিনিও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তারপর অভিনেতার দিদি আসেন তাঁর সঙ্গে থাকতে। তিনিও ১৩ জুন চলে যান মেয়ের পরীক্ষার জন্য।
সুশান্তের ডায়রি থেকে অনেক কিছুই জানা গিয়েছে। ডায়রিতে নিজের খরচ লিখে রাখতেন তিনি। CA কে তিনি বলে রেখেছিলেন মাসের খরচ কমাতে। ২০১৯ এর জানুয়ারি থেকে ২০২০র জুন পর্যন্ত অভিনেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস খতিয়ে দেখা হয়েছে। ব্যাঙ্কে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ছিল তাঁর।
সুশান্তের বোন প্রিয়াঙ্কাকে ফের বয়ান রেকর্ডের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি বয়ান দেওয়ার পরিস্থিতিতে ছিলেন না। তবে সুশান্তের পরিবারের তরফে বয়ান দেওয়া হয়।
প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর পর সুশান্তের নাম উঠে আসতে থাকে ওই প্রসঙ্গে। সেই নিয়ে নিজের আইনজীবীকে মেসেজও করেছিলেন সুশান্ত।
অভিনেতার ফ্ল্যাটটি সিল করা হয়েছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা যখন আত্মহত্যা করেন তখন তাঁর ফ্ল্যাটে ৪-৫ জন উপস্থিত ছিলেন। দুটো বড় ডিল নষ্ট হয়ে যাওয়াতেই আত্মহত্যা করেন দিশা।
মুম্বই পুলিস কমিশনার জানান, তাদের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই মামলার তদন্ত করছেন। এই মামলা মুম্বই পুলিসের অন্তর্গত। বিহার পুলিসের তদন্তের কোনও অধিকার নেই। এই বিষয়ে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন। তাদের তদন্ত যদি কারওর পছন্দ না হয় তাহলে সরাসরি কথা বলারও আবেদন করেছেন মুম্বই পুলিস কমিশনার।