বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) ময়নাতদন্তের (postmortem) রিপোর্টে (report) মৃত্যুর সময়ের উল্লেখ নেই কেন? প্রশ্ন তুললেন এবার অভিনেতার বাবা কে কে সিংয়ের আইনজীবী। মৃত্যুর সময়টা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই তথ্যটাই না থাকায় সুশান্তের মৃত্যু কিভাবে হয় তা জানা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন অভিনেতার পরিবারের আইনজীবী।
সংবাদ সংস্থা ANI কে দেওয়া বক্তব্যে সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী অভিযোগ করেন, “পোস্টমর্টেম রিপোর্ট যেটা আমি দেখেছি সেখানে মৃত্যুর সময়ের কোনও উল্লেখ ছিল না যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাঁকে মারার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নাকি ঝুলে পড়ার কারনেই মৃত্যু হয় সেটা মৃত্যুর সময় থেকে বোঝা যাবে।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই মুম্বই পুলিস কাজ শুরু করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের মামলায় রাজনৈতিক নেতারাই অনেক সময় বাধার সৃষ্টি করেন। অভিনেতার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় কে দেখেছিলেন এবং দেখে থাকলেও তাঁর দেহ নামানোর জন্য সুশান্তের দিদির আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হল না কেন সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী।
The post mortem report that I have seen doesn't mention the time of death which is a crucial detail. Whether he was hanged after being killed or he died by hanging can be cleared with the time of death: Vikas Singh, lawyer of #SushantSinghRajput's father pic.twitter.com/XBoMyJb7ih
— ANI (@ANI) August 15, 2020
সুশান্তকে কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ কে দিয়েছিলেন সেই নিয়েও রয়েছে ধন্দ। সম্প্রতি বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান, সুশান্তের ময়নাতদন্ত যারা করেছিলেন, কুপার হাসপাতালের সেই পাঁচজন চিকিৎসককে এবার জেরার জন্য ডাকবে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, যে অ্যাম্বুলেন্স চালক সুশান্তের মৃতদেহ তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর দাবি, অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেও জীবিত ছিলেন সুশান্ত। অ্যাম্বুলেন্স চালকের বক্তব্য, যারা ফোন করে যোগাযোগ করেছিলেন তারা অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছিলেন। অভিনেতার দেহ যখন অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হল তিনি তখনও জীবিত ছিলেন বলে দাবি করেন অ্যাম্বুলেন্স চালক।