বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলায় তাঁর মৃত্যু রহস্যের তুলনায় মাদক যোগের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তিন তিনটি স্বনামধন্য তদন্তকারী সংস্থা দিন রাত লেগে রয়েছে এই মামলা নিয়ে। তবে এখনো পর্যন্ত সিবিআই ও ইডি কাউকে গ্রেফতার না করলেও মাদক যোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। তার মধ্যে রয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর নামও।
শোনা গিয়েছিল সুশান্তের পাশাপাশি তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের (disha saliyan) রহস্য মৃত্যুরও তদন্ত করবে সিবিআই। সুশান্তের মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেই মৃত্যু হয় দিশার। এক বহুতল আবাসন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা যায়, আবাসনের ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন দিশা।
সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর বেশ কিছু ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার ভাইরাল হয়েছে অভিনেতার শেষ ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। জানা যাচ্ছে, এই পোস্টের মাধ্যমে দিশাকে শেষবার স্মরণ করে তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনাও দেন সুশান্ত।
ইনস্টা স্টোরিতে তিনি লেখেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক খবর। দিশার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা। দিশার আত্মা শান্তি পাক এই কামনা করি।’ ইনস্টাগ্রামে একটি পেজে শেয়ার করা হয় সুশান্তের এই স্টোরি। তারপরেই ভাইরাল হয়ে যায় তা।
সুশান্তের পাশাপাশি দিশা সালিয়ানের মৃত্যু রহস্যেরও কিনারা করার কাজে নেমেছে সিবিআই। এই দুই মৃত্যুর মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এর আগে দিশার ফ্ল্যাটমেট তথা বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি ইডিকে তাঁর বয়ানে বলেন, সুশান্ত তাঁকে বলেছিলেন হার্ড ড্রাইভের সব ভিডিও ডিলিট করে দিতে।
তিনি জানান, দিশার মৃত্যুর পর তাঁর নামের সঙ্গে সুশান্তের নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার হঠাৎ আহত হওয়ায় অস্থায়ী ম্যানেজার হিসাবে কাজ করছিলেন দিশা।
সিদ্ধার্থ বলেন, রিয়া চলে যাওয়ার দুদিন পর অর্থাৎ ১০ জুন সুশান্ত তাঁকে বলেন হার্ড ডিস্কে থাকা তাঁর সব ভিডিও, গান ডিলিট করে দিতে। দিশার মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে দেওয়ার জন্য ভেঙে পড়েছিলেন সুশান্ত। এমনটাই বক্তব্য সিদ্ধার্থের।
তিনি আরও জানান, রিয়া চলে যাওয়ার পর থেকে সুশান্তের স্বাস্থ্যও ভেঙে পড়ে। অভিনেতার দিদি মীতু তাঁর সঙ্গে ৮ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ছিলেন। তারপর তিনিও চলে যান। পুরনো একটি সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ জানিয়েছিলেন, দিশার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে খুব কেঁদেছিলেন সুশান্ত। এমনকি অজ্ঞানও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় অভিনেতার দিদি তাঁর কাছে ছিলেন। তিনিই সুশান্তের দেখভাল করেন বলে জানান সিদ্ধার্থ।