বাংলাহান্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে বাংলার সেরা পাঁচ সিরিয়ালের মধ্যে অন্যতম ‘অপরাজিতা অপু’ (aparajita apu)। সিরিয়ালের নায়িকা অপু অর্থাৎ সুস্মিতা দের (susmita dey) খ্যাতি এখন বাংলা জোড়া। অপু চরিত্রটির দৌলতে বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। যৌথ মুখার্জি পরিবারের বৌমার মিষ্টি কাণ্ডকারখানা মন জয় করে নিয়েছে সকলের।
বাস্তব জীবনেও কিন্তু অপুর মতোই চঞ্চল, প্রাণখোলা মেজাজের সুস্মিতা।
তাঁকেই প্রায় এক মাস হুইল চেয়ারে বসে কাটাতে হয়েছে। না না, সুস্মিতা এক্কেবারে সুস্থই আছেন। অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ‘অপু’। সিরিয়ালের প্রয়োজনেই হুইল চেয়ারে বসে অভিনয় সুস্মিতার। সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে, বিদেশ বসুকে জেল খাটানোর ‘অপরাধে’ তার পোষা গুণ্ডারা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে অপুকে।
ওই দুর্ঘটনার পরেই বেশ কিছুদিন হাঁটতে পারেনি অপু। দীপু ওরফে রোহন ভট্টাচার্যই তাকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরেছে বা সাহায্য নিতে হয়েছে হুইল চেয়ারের। কিন্তু হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে অপুর মন খারাপ হলেও সুস্মিতা কিন্তু দারুন খুশি ছিলেন। বললেন, একটানা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অভিনয় করার জায়গায় দিব্যি হুইল চেয়ারে বসে অভিনয় করতে পারছেন। আর কী চাই? শট শেষ হয়ে গেলেও নাকি চেয়ার ছেড়ে ওঠার নাম করতেন না সুস্মিতা।
তবে মাঝে মাঝে মন একটু খারাপ হত ঠিকই। বিশেষ করে দূর্গাপুজোর শুটের সময় সকলেই সেজেগুজে দাঁড়িয়ে অভিনয় করতেন। সুস্মিতা জানান, তখন তাঁর মন খারাপ হত। কারণ সাজগোজ করলেও হুইল চেয়ারে বসে থাকার কারণে কেউই তাঁর সাজ তেমন খেয়াল করত না।
একাধিক দৃশ্যে দীপুকে দেখা গিয়েছে অপুকে কোলে তুলে নিয়ে যেতে। এতেও নাকি খুব মজা পেয়েছিলেন সুস্মিতা। এই প্রসঙ্গেই একটি মজার কথা বলেছেন অভিনেত্রী। একটি দৃশ্যে দীপুর কোলে উঠে মোমবাতি জ্বালতে হবে তাকে। কিছুক্ষণ সুস্মিতাকে কোলে নিয়েই রোহনের চিৎকার, “এক্ষুণি নাম! আর কোলে নিয়ে থাকতে পারছি না তোকে।”
সুস্মিতার বক্তব্য, রোহনেরও সমস্যা হচ্ছিল এভাবে শুটিং করতে। তাই শেষমেষ চিত্রনাট্যে একটু অদল বদল করে দীপুর গলা জড়িয়ে অপুকে মোমবাতি জ্বালাতে দেখা যায়। তবে একটানা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অভিনয়ের পরে মাঝে মাঝে দীপুর কোলে উঠতে পারলে অপুর নাকি বেশ ভালোই লাগে। উল্লেখ্য, রোহনের প্রেমজীবন ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ‘মন ফাগুন’ এর সৃজলা গুহর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। সুস্মিতার এমন কথা শুনে সৃজলা কী বলবেন সেটাই এখন প্রশ্ন।