রাতের অন্ধকারে ঢুকেছিল ভারতে! শিয়ালদহ স্টেশন থেকে পাকড়াও সন্দেহজনক রোহিঙ্গা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার খাস কলকাতায় (Kolkata) খোঁজ মিলল সন্দেহজনক রোহিঙ্গার (Rohingya)! যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমনিতেই প্রায়শই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে। তবে, বর্তমান সময়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারিতে সীমান্তে চোরা অনুপ্রবেশের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। যদিও, এবার সীমান্তবর্তী এলাকার পরিবর্তে, খাস কলকাতা থেকেই অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে।

এই প্রসঙ্গে রেল পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, ওই ব্যক্তি এই রাজ্যে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ঢুকেছিলেন। তারপরে তিনি বনগাঁ থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছে যান। এদিকে, শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছে তিনি টিকিট কাউন্টারের পেছন দিকে ঘাপটি মেরে বসেছিলেন। আপাতত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে। আরপিএফ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে সন্দেহজনক রোহিঙ্গা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Suspected Rohingya arrested from Sealdah station

পাশাপাশি, আরপিএফ আরও জানিয়েছে যে, গত ২ জানুয়ারি গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে এক বিশেষ অভিযান চালানোর সময়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে এক ব্যক্তির চালচলন দেখে সন্দেহ হতেই তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। আর তারপরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। ওই ব্যক্তি নিজের নাম আরপিএফ-কে জানালেও, তিনি যে ভারতীয় নাগরিক, তেমন কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

আরও পড়ুন: “আমি ভগবান রাম এবং হনুমানের ভক্ত”, অবশেষে “রাম সিয়া রাম” গানের প্রসঙ্গে জানালেন কেশব মহারাজ

কিভাবে তিনি প্রবেশ করেন ভারতে: এমতাবস্থায়, আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই ব্যক্তি মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। আরপিএফ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় ছিলেন ওই ব্যক্তি। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাংলায় আরেকটি লাইন শুরু করার পথে রেল! থমকে থাকা কাজের জন্য প্রশাসনের কাছে চাওয়া হল জমি

এদিকে, ভারতে আসার পর গত ২ জানুয়ারি বনগাঁ থেকে একটি লোকাল ট্রেনে চেপে তিনি পৌঁছে যান শিয়ালদহ স্টেশনে। এমতাবস্থায়, গোপন সূত্র মারফত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরপিএফ-এর চালানো অভিযানে শিয়ালদহ স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে আটক করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ইতিমধ্যেই আরপিএফ ধৃত ওই ব্যক্তিকে শিয়ালদহ জিআরপি-র হাতে তুলে দিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর