বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে ভারত চীনের সম্পর্ক একেবারেই মধুর নয়। গালওয়ান ভ্যালিকে কেন্দ্র করে এর আগেই ভারতীয় এবং চিনা ফৌজের সম্পর্ক হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছেছে। বদলে ভারতে বেশকিছু চিনা অ্যাপও নিষিদ্ধ করেছে মোদি সরকার। এরইমধ্যে ফের একবার খোদ পশ্চিমবঙ্গের মালদহে একজন চীনা নাগরিকের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম হান জুনেই। তার কাছ থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু অত্যাধুনিক গেজেট। আর তাই সন্দেহ আরও বেড়েছে বিএসএফ জওয়ানদের।
বিএসএফ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ছটা নাগাদ মালদহের কালিয়াচক থানার অন্তর্গত মিলিক এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় এক চীনা ব্যক্তিকে। এই ঘটনা দেখেই সন্দেহ হয় বিএসএফ জওয়ানদের। আর তার পরেই তাকে আটক করে বিএসএফের ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ান। মিলিকের এই এলাকাটি জাল নোট, চোরা পাচার এবং বিভিন্ন ধরনের কালোবাজারির জন্য কুখ্যাত। তার মধ্যে এই চিনা ব্যক্তি হানের উপস্থিতি রীতিমত সন্দেহজনক করে তুলেছে গোটা বিষয়টিকে।
যদিও বিএসএফ সূত্রের খবর প্রাথমিক জেরার পর জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি আসলে বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছিলেন। মালদহের এই অঞ্চলের বেশ কিছু অংশ বাংলাদেশ বর্ডারের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এখানে কোন বেড়া দেওয়া নেই। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন প্রকৃতি দেখতে দেখতেই এই অঞ্চলে ঢুকে পড়েন তিনি। বিষয়টির সত্যতা প্রমাণের জন্য বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখিয়েছেন তিনি। বিএসএফ জওয়ানদের মতে তার কথাই ধরা পড়েছে বেশ কিছু অসংলগ্নতা। যার জেরে এত সহজে মুক্তি পাবেন না ঐ চিনা ব্যক্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্ডারের কাছাকাছি থাকা এই অঞ্চলে অনেক অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হয়। এমনকি অনেকে এসে গা-ঢাকা দেন বলেও খবর। আর এই ব্যক্তির থেকে অনেক টাকাও উদ্ধার হয়েছে। যার জেরে আরো বেড়েছে সন্দেহ। তিনি আদতে কোনো নাশকতার ছকের সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও এখন খতিয়ে দেখছে বিএসএফ। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে কালিয়াচক থানাতেও। অবশ্য পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া জানান, এই বিষয়টি এখনও তাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে কেস হাতে পেলে নিশ্চয়ই তদন্ত করে দেখবেন তারা। তবে বিএসএফের তরফেও জানানো হয়েছে, ব্যক্তির বয়ান সত্যি প্রমাণিত হলে তাকে সসম্মানে চীনে ফিরে যেতে সাহায্য করবে বিএসএফ।