২ লাইনের রায়েই সুশান্তকে মৃত্যুদণ্ডের দণ্ডিত করল বিচারক! ফাঁসি হবে শুনেই সুতপার প্রেমিকের যা হল….

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বহু চর্চিত ঘটনা সুতপা খুনের বড়সড় রায় ঘোষণা হল। শেষমেশ বহরমপুরের কলেজছাত্রী খুনে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সুশান্তকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২ মে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোড দিয়ে মেসে ফিরছিলেন কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী। সেই সময় রাস্তার উপরেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়।

তারপর খুনের ১৫ মাসের মাথায় মঙ্গলবার শুনানি ছিল বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি (ফাস্ট ট্র্যাক) আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে। ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সেখানে বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সেখানে ছিলেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ।

আরোও পড়ুন : পড়ুয়াদের জন্য এবার ইলিশ, চিংড়ির আয়োজন! বাংলার স্কুলের মিড ডে মিলে নয়া চমক

সুশান্তের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন, “আমার মক্কেল এক জন মেধাবী ছাত্র। তাঁর বৃহত্তর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অন্ততপক্ষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রার্থনা করেছিলাম। মহামান্য আদালত তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে। রায়ের কপি পাওয়ার পর মক্কেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

আরোও পড়ুন : জনবহুল এলাকার বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিসংযোগ; মৃত্যুর কোলে ৬৩ জন, আহত একাধিক

মৃতার বাবা-সহ সাক্ষ্য দেন ২০২২ সালের ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, সাংবাদিক, একটি ই-কমার্স সংস্থার কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং পুলিশ। গোরাবাজার এলাকার বাসিন্দা তথা ওই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বান্টি ইসলাম আদালতে বলেন, ‘‘চোখের সামনে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখে চার দিন ঘুমোতে পারিনি। অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত। যদি ফাঁসি না হয় তা হলে মেয়েটির উপর চরম অবিচার হবে।’’

sutapa susanta

বলা বাহুল্য, দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ২ লাইনের রায়ে সুশান্তকে ফাঁসির সাজা দেন বিচারক। রায় শুনে আদালতের লক আপেই জ্ঞান হারান সুশান্ত। জেলকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে জেলে নিয়ে গিয়েছেন। এই রায়ে খুশি সুতপার পরিবার। সুশান্তর পরিবারের তরফে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

 

 

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর