বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সকালে নিজের সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্ট করে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের বহু BLO বা বুথ লেভেল অফিসার সরাসরি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করে বলেন, হরিণঘাটার দিব্যেন্দু সর্দার নামের এক BLO আসলে হরিণঘাটা ১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। এখানেই থামেননি তিনি। সতর্কের সুরে শুভেন্দু আরও জানান, “এটা কেবল শুরু, আরও একাধিক BLO-র নাম আমি সামনে আনব।”
BLO-দের উদ্দেশে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কড়া বার্তা
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূলের কথা শুনবেন না, বিজেপির কথাও শুনবেন না। কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে কাজ করুন। তিহাড়ের ৫২ জন BLO এখনও জামিন পাননি, আপনাদেরও কিন্তু জেল হেফাজতে যেতে হতে পারে।”
উল্লেখ্য, BLO-দের দায়িত্বই হল ভোটার তালিকার জন্য বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া এবং সংগ্রহ করা। ফলে তাঁদের রাজনৈতিক প্রভাবে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। সেই কারণেই আগেই BLO-দের সতর্ক করেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। এবার সেই সতর্কতার সুর আরও জোরালো করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
তবে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যই প্রমাণ করছে BLO-রা এখন নির্বাচন কমিশনের দলদাসে পরিণত হয়েছে। যাঁরা আসলে রাজ্য সরকারি কর্মচারী, তাঁদের বিজেপির এজেন্ট বানানোর চেষ্টা চলছে। নির্বাচন কমিশনের পুরো কথা শোনার মানে হচ্ছে বিজেপির কথা শোনা।”

আরও পড়ুনঃ পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে টাকার পাহাড়! তারাতলায় ব্যবসায়ীর বাড়ি উদ্ধার কত কোটি? শুনলে ভিরমি খাবেন
এদিকে, এই একই প্রসঙ্গে মালদার মানিকচকের এনায়েতপুরের ঘটনাও সামনে এসেছে। সেখানে শ্যামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিউল আনসারির নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের সক্রিয় নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য। অথচ তিনিই আবার ওই এলাকার ১৫৬ নম্বর বুথের BLO পদে রয়েছেন। এই ঘটনায় আসন্ন ভোটের নিরপেক্ষতা কতটা নিশ্চিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।













