বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ভোটার তালিকা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার নিজের এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে তিনি দাবি করেন, কলকাতা পৌর কর্পোরেশন (কেএমসি) নাকি বেআইনি ও অনৈতিকভাবে জন্ম সনদ বিতরণ করছে। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এই জন্ম সনদ আসলে প্রকৃত নাগরিকদের নয়, বরং বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) চলাকালীন ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কায় থাকা ‘সন্দেহজনক’ ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
“ভোটার তালিকা কারসাজির চেষ্টা চলছে”, অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তার পোস্টে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “এটি ভোটার তালিকা কারসাজি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।” তিনি আরও বলেন, জন্ম সনদ দেশের নাগরিকদের জন্য তৈরি একটি আইনি নথি, যা সাধারণত নবজাতকদের জন্য বা দেরিতে নিবন্ধনের বিরল কিছু ক্ষেত্রে ইস্যু করা হয়। কিন্তু এটিকে রাজনৈতিক প্রকৌশলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু।
বিরোধী নেতা এই প্রসঙ্গে আরও অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপের পেছনে উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক স্বার্থে জনসংখ্যার চিত্র পরিবর্তন করা। শুভেন্দুর মতে, “জন্ম সনদ কোনও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির মাধ্যম নয়, বরং আইন অনুযায়ী নাগরিকত্বের প্রমাণ।”
কেএমসি’র বিরুদ্ধে আরটিআই আবেদন ও লিখিত দাবি
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে একটি আরটিআই (RTI) আবেদন দাখিল করেছেন। সেই আবেদনে তিনি গত ৩০ দিনে জারি করা সমস্ত জন্ম সনদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন। পাশাপাশি, কলকাতা পৌর কমিশনারের কাছেও লিখিতভাবে একাধিক তথ্য দাবি করেছেন।
শুভেন্দুর চাওয়া তথ্যগুলির মধ্যে রয়েছে –
- মোট কতটি জন্ম সনদ জারি হয়েছে
- কলকাতা পৌরসীমার বাইরের অনাবাসীদের জন্য কতটি সনদ ইস্যু হয়েছে
- বিলম্বে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে, বিশেষত ২০০৭ সালের আগে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য, কতটি সনদ দেওয়া হয়েছে
- সাম্প্রতিক জন্মের জন্য জারি হওয়া সনদের সংখ্যা

আরও পড়ুনঃ ‘সবই দিদির ইচ্ছে’, টিকিট না পেলে কী করবেন কাঞ্চন মল্লিক? নিজেই জানালেন উত্তর
প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের অধীনে কেএমসি যদি আইনি নিয়মকানুন উপেক্ষা করে থাকে, তা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। এই ঘটনাকে “অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধার্থে অপকর্ম” বলে দাবি করে শুভেন্দু ভারতের নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (CEO West Bengal) অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছেন।













