বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহেই ফের একবার বাংলায় গীতাপাঠের আয়োজন করছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন যে আগামী ৭ ডিসেম্বর কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই বৃহৎ ধর্মীয় কর্মসূচি। আয়োজকদের দাবি, এবার একসঙ্গে ‘৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ হবে। এই উদ্যোগের নেতৃত্বে রয়েছেন কার্তিক মহারাজ, উপস্থিত থাকবেন গীতা মনীষী জ্ঞানানন্দ মহারাজ, এবং সম্ভবত উপস্থিত থাকবেন বাগেশ্বর ধামের মহা মণ্ডলেশ্বর ধীরেন্দ্র মহারাজ ও বাবা রামদেব।
৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ
উল্লেখ্য, এর আগে বাগেশ্বর ধামের পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ মহারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে বলেছিলেন যে, “পশ্চিমবঙ্গে হনুমন্ত কথা ততক্ষণ বলব না, যতক্ষণ দিদি আছে।” এর কারণ সম্মন্ধে জানা গিয়েছিল যে, গত ১০ থেকে ১২ অক্টোবর কলকাতায় তাঁর নির্ধারিত তিন দিনের হনুমন্ত কথা অনুষ্ঠান ভারী বৃষ্টির কারণে স্থগিত করতে হয়। যে স্থানে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেটি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বিকল্প জায়গার অনুমতি মেলেনি বলেই দাবি শাস্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এমন গীতাপাঠের আয়োজন হচ্ছে রাজ্যে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে লোকসভা নির্বাচনের আগে একইভাবে ব্রিগেডে হয়েছিল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’। সেই অনুষ্ঠানে বিজেপির বহু নেতা-নেত্রীকে দেখা গিয়েছিল। আয়োজকদের দাবি ছিল, এক লক্ষেরও বেশি মানুষ সেদিন গীতাপাঠে অংশ নিয়েছিলেন। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২৪ এর ডিসেম্বরে শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠেও একই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও উপচে পড়েছিল ভিড়। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও রাজ্যের বাইরের অংশ থেকেও বহু মানুষ ওই গীতাপাঠে অংশ নেন। সেই কর্মসূচিতেও ছিলেন বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা ও সাংগঠনিক সদস্যরা।
ছাব্বিশের ভোটের আগে ফের আয়োজিত হচ্ছে গীতাপাঠ মহাযজ্ঞ
এবার ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও বড় করে আয়োজন হচ্ছে এই ‘গীতাপাঠ মহাযজ্ঞ’। আয়োজকদের দাবি, এটাই হতে চলেছে দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম গীতাপাঠ কর্মসূচি। অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গীতাপাঠের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন এই গীতাপাঠের পরিকল্পনার কথা। তাঁর দাবি, রাজ্যের মানুষকে সনাতন সংস্কৃতির মর্ম বোঝানোই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।

আরও পড়ুনঃ ৫৬ মামলায় ‘রক্ষাকবচ’ পেলেন অর্জুন সিং, ১০ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তার নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বারবারই বলেছেন, “যদি হিন্দু ভোট একজোট হয়, তবে ছাব্বিশের নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত।” সেই বক্তব্যের পরই এমন ধর্মীয় কর্মসূচি রাজনৈতিক তাৎপর্য তৈরি করেছে। বিজেপির একাংশ মনে করছে, এই ধরনের বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান রাজ্যে হিন্দু ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে, যা নির্বাচনের আগে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করবে।













