বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা ভোটের আগে ফের কর্মীদের জেতার মন্ত্র শুনিয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার মালদহে বিজেপির কর্মীসভা থেকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, “লড়তে হবে, লড়তে হবে… শুধু বিরোধিতা করলে হবে না, সঙ্গে সংকল্প পত্র পূরণ করতে হবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, “এবার লক্ষ্য পরিষ্কার, ১২টার মধ্যে ১১টা আসন জিততেই হবে।”
“১২টার মধ্যে ১১টা জিততে হবে”, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
এদিন মালদহের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এবার ১২টার মধ্যে ১১টা সিট জেতাতে হবে।” এই লক্ষ্যই নির্ধারণ করে দিলেন তিনি। যদিও ব্যতিক্রম হিসেবে উল্লেখ করেন সুজাপুর কেন্দ্রের নাম। তাঁর কথায়, “ওই সুজাপুরটা হবে না। আমরা ৮ শতাংশ, ওরা ৯২ শতাংশ। বাকি সব সিট জেতাতে হবে।”
তবে এখানেই শেষ নয়। নিজের বক্তব্যে এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিজেপির ‘সংকল্প পত্র’-এর কথাও তুললেন। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, “প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সঙ্গে বিকল্প সংকল্প জরুরি। ভোট ঘোষণা হলেই আমাদের জাতীয় নেতারা সংকল্প পত্র প্রকাশ করবেন। গোটা দেশে একটি-দুটি রাজ্য বাদে বিজেপি জিতেছে। কারণ প্রতিটি রাজ্যে আমরা সংকল্প পত্র পূরণ করেছি।”
ধর্ম রক্ষার ডাক শুভেন্দুর
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন ফের ধর্ম রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “মমতা বলেন, ধর্ম যার-যার, উৎসব সবার। আর আমি বলি, ধর্ম যার-যার, রক্ষা করার দায়িত্ব তার তার।”
তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সবসময় হিন্দু ভোট ভাগ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু মুসলমান ভোট ভাগের কথা কখনও বলেন না। শুভেন্দুর কথায়, “সনাতনী ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় অমুসলিমদের বিভক্ত করতে চান। আদিবাসীদের সঙ্গে কুড়মিদের ঝগড়া লাগাতে চান। পাহাড়ে ১১টা বোর্ড বানিয়েছেন। রাজবংশীদের বিভাজিত করেন। এটাই তাঁর কৌশল।”

আরও পড়ুনঃ ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডে কুপিয়ে খুন! রক্তাক্ত অবস্থায় ১০০ মিটার দৌড়ালেন ব্যক্তি
রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) চূড়ান্ত বার্তা দিয়ে বলেন, “শুধু তৃণমূল-বিরোধিতা নয়, বিকল্প সরকার গঠনের সংকল্প নিতে হবে।” তাঁর মতে, বিরোধিতা যথেষ্ট নয়, বিকল্প সংকল্পই প্রকৃত পথ। তাই তিনি বলেন, “লড়াই শুধু মমতার বিরুদ্ধে নয়, লড়াই আমাদের নিজেদের মধ্যে দৃঢ়তা আনার। তবেই রাজ্যে পরিবর্তন সম্ভব।”













