‘কাউকে জামাই আদর নয়’, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের কথা শুনেই বিচারপতি বললেন, আপনাদের বিরুদ্ধে…

Published on:

Published on:

calcutta high court 5

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই মামলার শুনানিতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, এই বিষয়ে কেন্দ্র- রাজ্যের জন্য কি একই নিয়ম প্রযোজ্য? সোমবার এ কথা জানতে চাইলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

আর কী বলল আদালত? Calcutta High Court

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, বিধানসভায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। তাই বিধানসভার ভিতরে নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশ করানোর আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এই বিষয়ে ২০২৪ সালে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি, বা ২০২১-এর পুরনো বিজ্ঞপ্তি কোনটা কার্যকর রয়েছে, সেই বিষয়ে বিধানসভার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতে রাজ্য জানায়, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র- রাজ্য সবেতেই নিরাপত্তারক্ষীদের ক্ষেত্রে একই নিয়ম।

রাজ্যের যুক্তির প্রেক্ষিতে বিচারপতি সিনহা বলেন, “কেন্দ্র- রাজ্য উভয়ের জন্য একই নিয়ম থাকলে তো এই মামলা শোনার আর কোনও প্রয়োজনই নেই।” বিচারপতির পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল এজি কিশোর দত্ত বলেন, “রাজ্যের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য রয়েছে।”

“কাউকে জামাই আদর নয়”, বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের এজি। সেই সময় বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “কিন্তু আপনাদের বিরুদ্ধে তো ঠিক এই অভিযোগটাই রয়েছে।” এজি বলেন, যেদিন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, এটা ওই একটা দিনের ঘটনার কথা বলে মামলা হয়েছে।

এজি জানান, ২১ সালের বিজ্ঞপ্তি অনেক আগের, নতুন করে ২০২৪-এ বিজ্ঞপ্তির নোটিস দেওয়া হয়। এজি আরও জানান, কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রত্যেকের গতিবিধি একটি নির্দিষ্ট জায়গার পর নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। একথা শুনে বিচারপতি বলেন, “তাহলে কেন আদালত এই মামলা শুনবে? ওই নির্দিষ্ট জায়গার পর যে যার দায়িত্ব নিজে নিয়ে নেবেন”।

calcutta high court(4)

আরও পড়ুন: তৃণমূলের অন্দরেই লুকিয়ে স্বামীর খুনিরা! একুশের সমাবেশে দলের বিরুদ্ধেই বিষ্ফোরক নিহত দুলাল সরকারের স্ত্রী

যদিও এর বিরোধীতা করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। তার দাবি, রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষীরা লবিতে থাকতে দিলেও, কেন্দ্রের কোনও নিরাপত্তারক্ষীদের থাকতে দেওয়া হবে না সেখানে। ঠিক কোন বিজ্ঞপ্তি কার্যকর রয়েছে আগামী সোমবার তা আদালতে জানাবে রাজ্য।