বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার সিঙ্গুরের (Singur) বড়া হাওয়াখানা এলাকায় এক জনসভা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জোর আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, সর্বভারতীয় তকমা চলে যাওয়ার পর অমিত শাকে চারবার ফোন করেছেন মমতা, রাষ্ট্রীয় তকমা রাখার জন্য বারংবার অনুরোধও করেন তিনি। পরদিনই এই নিয়ে শুভেন্দুকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মমতা (Mamata Banerjee)। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন। আর বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে এর পাল্টা মমতাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন বিরোধী দলনেতা।
ঠিক কী বললেন শুভেন্দু? এ দিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান আপনি। উচ্চ নিরাপত্তায় থাকেন। আপনার কল রেকর্ড, ডিটেলস সর্বসমক্ষে আনা যায় না। সেটা আমি আনতেও চাই না। তথ্য জানার অধিকার আইনেও এ নিয়ে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একমাত্র আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া এ সব পাওয়া যায় না। ”
এরপরেই তিনি বলেন, “আমি চাই, আপনি মামলা করুন। মামলা করলে আমিও ভারত সরকারের যে TRAI আছে, তাদের মামলায় একটি পক্ষ করব আমি। ৪ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল আপনার ল্যান্ডলাইনের কল রেকর্ডস দিতে বাধ্য হবে। জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে সবকিছু।” কার্যত এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আইনি লড়াইয়ে নামার আমন্ত্রণ জানালেন বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, “আমি ফোন করেছি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।” এরই পাল্টা এদিন শুভেন্দু বলেন, “আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম আমি। আপনিও করুন। যা কদর্য ভাষা আপনার, বাংলার মানুষ উত্তর দেবেন। আরামবাগের তৎকালীন সাংসদ অনিল বসু কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন আপনাকে। সেই সময় বাংলার মানুষ আপনার পক্ষ নেন।”
পাশাপাশি শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “এখন বিরোধী দলনেতা, জাতীয় নেতৃত্ব, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে যত এমন কথা বলবেন, ততই সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।” তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে উস্কানিমুলোক কথা বলছেন মমতা, এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এখানেই শেষ নয়, মমতাকে সরাতে না পারলে রাজনৈতিকভাবে সন্ন্যাস নেওয়ার ঘোষণাও করেন বিরোধী দলনেতা।