‘লক্ষাধিক ভুয়ো সার্টিফিকেট বিলি করেছে মমতার সরকার!’, আদিবাসী দিবসে নতুন বিতর্ক উস্কে দিলেন শুভেন্দু

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। রাজ্যে লক্ষাধিক ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে। এমনই দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। আদিবাসী দিবসের দিন পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipore) থেকে নতুন বিতর্ক প্রকাশ্যে আনলেন আনলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে প্রচুর অযোগ্য প্রার্থীদের তপসিলি জাতি/উপজাতির সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, প্রকৃত প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংবনীর নবকুঞ্জ ময়দানে এদিন সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সভার মঞ্চ থেকেই তিনি কড়া ভাষায় বলেন, ‘গোটা রাজ্য অন্তত লক্ষাধিক লোককে ভুয়ো তফসিলি সার্টিফিকেট দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যাদের এসটি হওয়ার দরকার নেই, তাঁদেরকেও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, অনেকেই অনগ্রসর শ্রেণি দফতরের থেকে অর্থের বিনিময়ে জাতিগত শংসা পত্র পেয়েছেন।

এদিন, পিছিয়ে সমাজের প্রতি রাজ্য সরকারের অবহেলার প্রসঙ্গেও সরব হন শুভেন্দু। তিনি জানান, সামান্য কিছু বেতনের ভিত্তিতে জঙ্গলমহলের যুবক-যুবতীদের পুলিসের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হচ্ছে।

mamata suvendu

এরপরই, শাসক দলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এই চোরেরা জাত পর্যন্ত বিক্রি করছে টাকার জন্য।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও অনেকে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে নির্বাচনে লড়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাজেটে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে আবাসিক একলব্য স্কুল বানানোর জন্য অর্থ দেওয়ার কথা ছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘ আমাদের এই রাজ্যে নয়টি জেলাতে এই একলব্য স্কুল করার জন্য কেন্দ্র থেকে অনুমোদন এসেছিল। রাজ্যের কাছে জমিও চাওয়া হয়েছিল স্কুল নির্মাণের জন্য। কিন্তু রাজ্য সরকার জমি দেওয়ার বদলে সরাসরি আর্থিক অনুদান চেয়েছিল।’

পিংবনিতে শুভেন্দুর শভা নিয়ে অনেক নাটক চলেছে আগেই। পুলিস অনুমতি দেয়নি সভার। পরে সভা করার অনুমতি পান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে সভার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিজেপি সভা করে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর