বাংলার ভোটের তালিকার জুড়ে শুধু মৃত-বাংলাদেশী-রোহিঙ্গাদের নাম, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

Published on:

Published on:

Suvendu Adhikari Demands SIR to Remove Illegal Voters in Bengal

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের ভোটার তালিকা নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ অর্থাৎ রবিবার হাওড়ার ‘কন্যা সুরক্ষা যাত্রা’-য় অংশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যে অন্তত ১ কোটি ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী, মৃত ব্যক্তি, এমনকি নকল পরিচয়ে তালিকাভুক্ত ভোটারও।

ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, এই বিপুল সংখ্যক ভুয়ো নাম রাজ্যের ভোটার তালিকাকে পুরোপুরি অবিশ্বস্ত করে তুলেছে। তাই অবিলম্বে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) দাবি জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই এই অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছে, যার ফলে রাজ্যের প্রকৃত নাগরিকরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না অথবা ভোট দিতে গিয়ে পিছিয়ে পড়ছেন।

‘পশ্চিম বাংলাদেশ’ হয়ে যাবে বাংলা? কি বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মতে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও বীরভূম, এই জেলাগুলিতে জনসংখ্যার গঠন আশঙ্কাজনক হারে বদলাচ্ছে। তৃণমূল সরকার (Trinamool Congress) এই বদলের মূল কারিগর। তিনি সরাসরি বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে রাজ্যের নাম একদিন পশ্চিমবাংলা না থেকে ‘পশ্চিম বাংলাদেশ’ হয়ে যাবে।” তবে সেই দিন যাতে না আসে, তা নিশ্চিত করতে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে লড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি (Suvendu Adhikari)।

নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি

শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানান, অবিলম্বে রাজ্যে বিশেষ ভোটার তালিকা পর্যালোচনা শুরু করা হোক। প্রকৃত ভোটারদের তালিকায় রাখার পাশাপাশি সমস্ত ভুয়ো, মৃত ও অনুপ্রবেশকারীদের নাম কেটে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Suvendu Adhikari Demands SIR to Remove Illegal Voters in Bengal

আরও পড়ুনঃ ঢেঁড়স ৯০, টমেটো ১০০, টানা বৃষ্টির জেরে বাজার দরে আগুন, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

এদিন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) এই বক্তব্যকে ঘিরে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।