বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার রাতে আচমকাই ভেঙে পড়ে গার্ডেনরিচের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক মানুষ, আহত বহু। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর একাধিকবার প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিশেষত কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা স্থানীয় বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম এবং এলাকার কাউন্সিলর শামস ইকবালকে নিশানা করেছেন তিনি। এবার এই ইস্যুতে আরটিআই করলেন বিজেপি (BJP) নেতা।
রবিবারের দুর্ঘটনার পর সোমবার সকাল হতেই গার্ডেনরিচে (Garden Reach) যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণের কথাও একপ্রকার মেনে নেন তাঁরা। এবার এই অবৈধ নির্মাণ ইস্যুতেই আরটিআই ফাইল করলেন শুভেন্দু। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ অবধি কতগুলি বিল্ডিং প্ল্যানে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে? কতগুলিই বাতিল করা হয়েছে? সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছেন তিনি।
In the aftermath of the Garden Reach tragedy, the unpreparedness of the Kolkata Municipal Corporation has been totally exposed.
As a responsible Leader of the Opposition, I have initiated the process of data compilation regarding the process of sanctioning building plans,… pic.twitter.com/kqnVUJv5g9
— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) March 20, 2024
গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে (Garden Reach Building Collapse) পড়ার পরেই শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, এই এলাকায় কমপক্ষে ৮০০টি বিল্ডিং অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর, স্থানীয় পুলিশ এবং প্রোমোটারদের দিকে আঙুল তোলার পাশাপাশি তিনি প্রশাসনকেও নিশানা করেন। প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে অবৈধ বিল্ডিং তৈরি হয়েছে এটা মানতে চাননি তিনি। এবার এই বিষয়েই আরটিআই (RTI) ফাইল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুনঃ ‘একটাকাও ক্ষতিপূরণ পাইনি’! গার্ডেনরিচে মরদেহ নিয়ে চলছে ‘টাকার খেলা’? হাহাকার নিহতদের পরিবারের
বুধবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, ‘গার্ডেনরিচ দুর্ঘটনার পর কলকাতা পুরসভার ব্যর্থতা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। দায়িত্ববান বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করে দিলাম। কতগুলি বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে, কতগুলি বাতিল করা হয়েছে, কমপ্লিশন সার্টিফিকেট ইস্যু করা, অবৈধ বিল্ডিং চিহ্নিত করা এবং ভাঙার বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে’।
শুভেন্দুর দাবি, এই তথ্যগুলি হাতে এলে অবৈধ বিল্ডিং সম্পর্কে আরও বেশি হবে সচেতন হওয়া যাবে। আরটিআইয়ের মাধ্যমে বিগত প্রায় ১৪ বছরের তথ্য জানতে চেয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিকে গতকাল বিল্ডিং বিভাগের সকল আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র একটি বৈঠক করেন। সেখানে মেজাজ হারিয়ে একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে তিনি ধমক দেন বলে খবর।