বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাগজে কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও, মুকুল রায় (mukul roy) এবং তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। তারউপর তিনি আবার রাজ্যের বিধানসভার পাবলিক অ্যাকউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও। এই পরিস্থিতিতে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানিতেও গরহাজির ছিলেন মুকুল রায়।
দিলেন শারীরিক অসুস্থতার চিঠি। আর সেই চিঠি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখলেন সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। মুকুল রায়ের এই চিঠিকেই এবার হাতিয়ার করে এগোবে বিজেপি শিবির। এমনটাই ইঙ্গিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)।
বিজেপি বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও গেরুয়া শিবির ছেড়ে যাওয়ার সময় এই আসন সঙ্গে করেই তৃণমূলে গিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক ও বর্তমান তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। দলত্যাগ করলেও, বিধায়ক পদ তিনি ছাড়েননি। আর এই পদের দোহাই দিয়েই বিধানসভার পাবলিক অ্যাকউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও করা হয় তাঁকে। এসবের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব ছিল বিজেপি শিবির। এমনকি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে অধ্যক্ষের দ্বারস্থও হয় গেরুয়া শিবির।
এই বিষয়ে শুনানির চতুর্থ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু এদিনও অনুপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়। দুপুর একটা নাগাদ শুনানি শুরু হওয়ার পর মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁর অসুস্থতার কথা জানান সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। মুকুল রায়ের অনুপস্থিতির কারণে আগামী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ই নভেম্বর।
এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এক মাস আগে মুকুল রায়ের দাবী মত ৪ সপ্তাহের বেশি সময় দিয়েছেন অধ্যক্ষ মহোদয়। মুকুল রায় যে তৃণমূল পরিষদীয় দলের সদস্য হয়েছেন, সেই প্রমাণ তিনি আজ দিলেন। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকলেন। তাই মুকুল রায় যেহেতু তৃণমূলের পরিষদীয় দলের সদস্য, তাই এখনই এই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা প্রয়োজন’।