বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাঁথি পুরসভা এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজকে ঘিরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপা অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর নামে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তারপর কাঁথি থানায় মামলাও দায়ের করা হয়। এরপর হাইকোর্ট অধিকারী পরিবারের পক্ষে রায় দিতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।
এবার শুক্রবার সেই আবেদনকেই খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা হবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়ের করা ওই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বি আর গাভাই এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে। আবেদন খারিজ হয়ে যেতেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন এই বিজেপি নেতা। শুধু তাই নয়, এক্সও (পূর্বতন টুইট) করেন শুভেন্দু।
আরোও পড়ুন : মেঘলা নাকি ঝকঝকে! কেমন থাকবে মহালয়ায় বঙ্গের আকাশ? দেখুন, আজকের আবহাওয়ার হালচাল
তিনি লেখেন, “আমার পরিবারের সদস্যদের, এমনকি, বাড়ির মহিলাদের হেনস্থা করার জন্য রাজ্যের আরও একটি প্রচেষ্টা সুপ্রিম কোর্ট নস্যাৎ করে দিয়েছে। ২০১৭ সালের ঘটনায় ২০২২ সালে এসে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ এবং তার ভিত্তিতে আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট এই ধরনের অপকর্ম বন্ধ করেছে। যাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আজ সুপ্রিম কোর্টও সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে।”
আরোও পড়ুন : কর্মবিরতি শেষ হতেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত! বকেয়া DA নিয়ে প্রকাশ্যে এল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
জানা গিয়েছে, শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবি গোপাল শঙ্করনারায়ণন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সুতপা অধিকারীকে তাঁর বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি নোটিস জারি করেছিল এবং তাকে তার আয়কর রিটার্নের নথি জমা দিতে বলেছিল। অন্যদেরও একই রকম নোটিস জারি করা হয়েছিল। তাঁরা সামান্য এই নোটিসকে বাতিল করতে চেয়ে ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে সম্পর্কের দোহাই দিচ্ছেন।”
Another attempt by the State to hound my family members; that too ladies of my house, foiled before the Hon’ble Supreme Court of India. A fake complaint lodged in 2022 dating back to an alleged incident of 2017 prompted the Police to immediately register a false case and my…
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 13, 2023
মামলাকারীদের আইনজীবি পি এস পটিয়ালা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর মক্কেলদের হেনস্থা করতে চাইছে। কলকাতা হাই কোর্টের এই নির্দেশ দেওয়ার কারণ রয়েছে।” সব শুনে বিচারপতি গাভাই বলেন, “সমস্ত তথ্য এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এই মামলায় আমরা হস্তক্ষেপ করতে চাই না।” এর পরেই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।