বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত নতুন কিছু নয়। রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, বিশেষ করে নন্দীগ্রামে এই সংঘাত আরও বেশি স্পষ্ট। তবে সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) উপস্থিতিতে তৃণমূল বিজেপি সংঘাত সম্বন্ধে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গিয়েছে। এদিন নন্দীগ্রামে ‘শহীদ স্মরণ’ মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের পর থেকে প্রতি বছর এই একই দৃশ্য দেখা যায়। একসময় এই ১০ নভেম্বর ছিল বাম আমলের ‘অপারেশন সূর্যোদয়’-এর দিন। এখন সেটাই নন্দীগ্রামের শহিদ দিবস, যেটা ঘিরে প্রতি বছর মুখোমুখি হয় তৃণমূল আর বিজেপি। সোমবার সকালে ঠিক সময় মতো শহিদ বেদীতে পৌঁছলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা নয়, কালো পতাকা।
মঞ্চে ওঠার আগে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “নন্দীগ্রামের আন্দোলনে বিজেপিও ছিল। লালকৃষ্ণ আদবানী না থাকলে আন্দোলন সম্পূর্ণ হত না!” প্রশাসন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। শুভেন্দু সেই সময় মেনেই নিজের কর্মসূচি শেষ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, “নাগরিক কর্তব্য পালন করাই বড় কথা।”
মঞ্চে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ক্ষোভ
এদিন শহিদ দিবসের মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল হবে, কিন্তু আজও হয়নি। আপনাকে উদ্বোধনে ডাকিনি বলে রাগ করেছিলেন। কিন্তু উদ্বোধন করব কেন? আমি শহিদ পরিবারের ফিরোজা বিবি ও রাধারাণী আড়িকে দিয়েছি। ওনারা ত্যাগ করেছেন, নির্যাতন সহ্য করেছেন।”

আরও পড়ুনঃ পার্ক স্ট্রিটে আর হোর্ডিং নয়! কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্তে মামলা হাই কোর্টে
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, এখনও অনেক শহিদ পরিবার ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে সরাসরি কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,“আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। চারজন এখনও টাকা পাননি, কারণ তারা বিজেপিতে এসেছে। আমি নিজে ওদের টাকা দিয়েছি।” এরপরই শুভেন্দুর গলায় শোনা গেল আত্মসমালোচনার সুর। তিনি বলেন,“আসল পরিবর্তন ২০১১ সালে হয়নি। আমরা ভুল করেছি। জনগণকেই নিয়ে আসল পরিবর্তন আনব।”












