রেড রোডে তৃণমূলের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা, একাধিক অভিযোগ নিয়ে সিইও দপ্তরে গেলেন শুভেন্দু

Published on:

Published on:

Suvendu Adhikari meets CEO over SIR controversy

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে SIR। আর SIR শুরু হতেই নড়েচড়ে বসলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) মনোজ আগরওয়ালের দপ্তরে হাজির হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। কিন্তু তার আগে সোমবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিএলও-দের (BLO) হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু।

এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি জানিয়ে বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যারা গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের ওপর শাসকদলের লোকজনের হামলা হচ্ছে।” সেই সমস্ত ঘটনার খুঁটিনাটি বিস্তারিতভাবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে জানাতে হাজির হন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল নিয়ে অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

একই সঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন। মঙ্গলবার কলকাতার রেড রোড থেকে SIR বিরোধিতায় তৃণমূলের মিছিলের ঘোষণা ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “মনোজ আগরওয়ালকে ভয় দেখাচ্ছে ওরা। যে সাংবিধানিক বডিকে ভয় দেখাচ্ছে, অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছে, তারা আম্বেদকরের মূর্তির তলা থেকে মিছিল করবে! এই মিছিল ভারতীয়, রাষ্ট্রবাদীদের মিছিল নয়।”

বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)আরও অভিযোগ করে বলেন, “বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ, স্বরূপনগর থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গাড়ি করে আনা হচ্ছে এই মিছিলে। এই মিছিলের কোনও সাংবিধানিক মূল্য নেই। শুধু ভোটার তালিকার নিরপেক্ষ কাজকে বাধাগ্রস্ত করাই লক্ষ্য।” শুভেন্দুর দাবি, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের উপর ভয় দেখিয়ে কমিশনের কাজের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে শাসকদল।

Suvendu Adhikari meets CEO over SIR controversy

আরও পড়ুনঃ জন্ম শংসাপত্র পেতে কলকাতা পুরসভায় রেকর্ড আবেদন, SIR শুরু হতেই হিমশিম খাচ্ছেন পুর কর্মীরা

মথুরাপুরে সোমবারের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “SIR হবেই। কোনওভাবেই তা আটকানো সম্ভব নয়। আর তাতে এক কোটিরও বেশি নাম বাদ যাবে।” তাঁর মতে, ২০০২ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত নাম লিঙ্ক রয়েছে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ভোটারের। রাজ্যে ভোটার সংখ্যা ৭ কোটি ৩৩ লক্ষ। এর মধ্যে ১৩ লক্ষ আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। ফলে, প্রক্রিয়া শেষ হলে অনেক নাম বাদ পড়বে বলেই তাঁর অনুমান।