বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছর ঘুরলে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এবছরও ভোটের আগে শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটের ময়দানে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আবারও তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে খোলামেলা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
সরাসরি মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
শুক্রবার সূর্য সেন স্ট্রিটে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিষ্ফোরক কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতাকে। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের মন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পালটা প্রশ্ন করেন, ‘আমি কেন যাব শ্রীরামপুরে? ওঁর মালিক কেন গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে?’
তুঙ্গে শাসক বিরোধী দ্বন্দ্ব: তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, কল্যাণের মতো কর্মচারীর সঙ্গে কেন লড়তে হবে তাঁকে? তাঁর মালিককে হারিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু আরও বলেন, ‘কল্যাণকে বলে দেবেন, মমতার সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে লড়তে। একুশে হারিয়েছি, আবারও হারাব।’ সম্প্রতি এনকডিএর চেয়ারম্যান পদে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আসীন হওয়াকে তৃণমূলে ফেরার বড় ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এ বিষয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, উনি তো তৃণমূলে ঢুকেই আছেন। বাইরে কোথায়? একুশ থেকে ঢুকে রয়েছেন। বিধানসভা ভোটে ভূমিকা অন্যরকম ছিল। উনি ভাইফোঁটা নেন প্রতি বছর। তবে এসবে আর লাভ নেই। মানুষ জঙ্গলরাজ খতম করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন : ছ্যাঁকা দিচ্ছে সোনা-রূপো, ধনতেরসে ঝাঁটা কিনবেন ভাবছেন? আদৌ তা শুভ তো?
কী বলেছেন শুভেন্দু: অন্যদিকে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে গরু পাচারের টাকা নেওয়ার অভিযোগ আনেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পালটা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) জবাব, সাড়ে চার বছর ধরে সরকার তবে ব্যবস্থা নিতে পারল না কেন? সরাসরি নিশানা করে তিনি বলেন, উনি উপনির্বাচনে মন্ত্রী হয়েও হেরে গিয়েছেন। কার পয়সায় করেছেন সেই নির্বাচন? উনি সকাল দুপুর সন্ধ্যায় একেকটা পার্টি করেন। ভরতপুরে দাঁড়ালে টারজানরা হারাবে, রেজিনগরে রবির লোকেরা হারাবে। আমাকে কিছুই করতে হবে না।
আরও পড়ুন : দিওয়ালিতে জ্বলবে না আলো, আঁধারেই থাকবে মন্নত, কেন এমন সিদ্ধান্ত শাহরুখের?
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) অভিযোগ করেছিলেন, ভবানীপুরে বহিরাগত এনে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জবাবে এদিন শুভেন্দু বলেন, কলকাতা একসময় ভারতের রাজধানী ছিল। তখন সব রাজ্যের লোকেরা আসতেন বাংলায় কাজ করতে। চিত্তরঞ্জন, দুর্গাপুরে শিল্প বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন ডা: বিধানচন্দ্র রায়। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাটাকে তাড়িয়েছেন, ৬৮৮৮ টি কারখানা বন্ধ করিয়েছেন। শিখ, বিহারী, মারোয়াড়ি, গুজরাটিরা বহিরাগত হলে মমতা পাকিস্তানের সমর্থক বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।