বাংলাহান্ট ডেস্ক : গান বেঁধে বিপাকে পড়া শিল্পী মণীন্দ্র বর্মনের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে তিনি গান লিখেছেন বলে অভিযোগ। সেই গানটি ভাইরাল হতেই মহা বিপদে পড়েছেন শিল্পী। পুলিশি হেনস্থার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রকাশ্যেই তাঁকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন! এই আবহেই মণীন্দ্রের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।
শিল্পী মণীন্দ্র বর্মনের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
কোচবিহার মাথাভাঙার বাসিন্দা মণীন্দ্র বর্মন। মূলত ভাওয়াইয়া গান গেয়ে থাকেন তিনি। উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় শিল্পী তিনি। কিন্তু সম্প্রতি একটি গানের জেরে রাজরোষের মুখে পড়েছেন তিনি। ‘জ্বালাইয়া খাইল একটা হীরক রানি, পরনে সাদা শাড়ি, পায়েতে হাওয়াই চটি’ নামে গান গেয়েই বিপদে পড়েছেন শিল্পী। অভিযোগ উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এই গান বেঁধেছেন তিনি।
হুঁশিয়ারি মন্ত্রী উদয়ন গুহর: গানটি ভাইরাল হতেই কার্যত জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে মণীন্দ্রের (Manindra Barman)। বারংবার তাও বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। মন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রকাশ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘সামনে পড়লে ও যে ভাষায় গান গেয়েছে ওই ভাষাতেই উত্তর দেব। এই গান শোনার পর ওই গায়ককে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানো সেটাও যুবকদের স্বাধীনতা। যা খুশি করা যায় না’।
আরও পড়ুন : ইতিহাস সৃষ্টির পথে কলকাতা, চালক ছাড়াই চলবে আন্ডারওয়াটার মেট্রো! কবে থেকে শুরু যাত্রী পরিষেবা?
কী বলেছেন মন্ত্রী: মন্ত্রীকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘প্রথমে বলেছিল এটা সংস্কৃতি। এটা ওর অধিকারের মধ্যে পড়ে। আমি জানি না একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ইচ্ছামতো যে কোনও ভাষায় গালাগালি করে গান বেঁধে সেই গান গেয়ে বেড়ানোটা কেমন স্বাধীনতা। সেটা স্বাধীনতা হলে অনেক যুবক মনে করতে পারে, এই গান শোনার পর ওই গায়ককে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোটাও স্বাধীনতা।’ তাঁর এই মন্তব্য শোরগোল ফেলেছিল বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন : ভুলে যাবেন চিংড়ির স্বাদ, এভাবে রাঁধুন ‘মটন মালাইকারি’, জমে যাবে রবিবার
এরপরেই মণীন্দ্র বর্মনের পাশে দাঁড়ান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, চাকরি চুরি নিয়ে একটি গান বেঁধেছিলেন মণীন্দ্র বর্মন, যা প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়। এর জন্য তাঁর বাড়িতে চারবার পুলিশ গিয়েছে, বলা হয়েছে গান ডিলিট করে মোবাইল ফোন জমা করতে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সরাসরি পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মণীন্দ্র বর্মন আছেন ও থাকবেন। ক্ষমতা থাকলে ওঁর কেশাগ্র স্পর্শ করুন। আমরা মণীন্দ্র বর্মনকে আইনি সহায়তা দেব’। এ বিষয়ে ওই লোকশিল্পী বলেন, নির্দিষ্ট করে কাউকে আঘাত করতে চাননি তিনি। তাঁর গানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার মতোও কিছু নেই। কিন্তু তাও মুহূর্তে মুহূর্তে তাঁর বাড়িতে পুলিশ আসছে বলে অভিযোগ মণীন্দ্রের।