এবার জিতলে ওঁরা কিডনি পর্যন্ত পাচার করবে! তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শনিবার অমিত শাহের হাত ধরে মেদিনীপুরের মাটি থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন মেদিনীপুরের জনসভায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই তোলাবাজ ভাইপো হটাও স্লোগান দিয়েছিলেন। আর গতকাল মেদিনীপুরের জনসভার পর প্রথম বিজেপির সভায় হাজির হলেন তিনি। আজ পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ছাতনিতে তিনি বিজেপির সভায় যোগ দেন। সেখান থেকে একের পর এক চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী।

তিনি সভা থেকে বলেন, বিশ্বের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছিল। আমি আমার নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি। আমি প্রথমে মন্ত্রীত্ব ছেড়েছি, এরপর বিধায়ক পদ ছেড়েছি সবশেষে দল ছেড়েছি। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার অধিকার আমার আছে।

তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে যারা আমাকে বাংলার নতুন মীরজাফর বলে ডাকছেন, তারা একটি ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন ১৯৯৮ সালে পঞ্চায়েত ভোট আর ১৯৯৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল কাদের সাথে জোট করেছিল? তিনি বলেন, সেদিন যদি লালকৃষ্ণ আদবাবণী আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারত রত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী জি এদের না আশ্রয় দিত, তাহলে তৃণমূল দলটা অনেক আগেই উঠে যেত।

WhatsApp Image 2020 12 22 at 5.57.16 PM

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে এনডিএ-এর প্রার্থী হয়ে লড়েছিলাম। একহাতে তৃণমূলের পতাকা আরেক হাতে বিজেপির পতাকা ছিল আমার। লক্ষণ শেঠের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস কারোর ছিল না। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে অবরুদ্ধ নন্দীগ্রামে আদবাণী জি সুষমা জিরা এসেছিলেন। সিঙ্গুরের অনশন মঞ্চে ফলের রসটা ওনাকে রাজনাথ সিংহ জিই খাইয়েছিলেন।

শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল দলটা আজ পুরোপুরি প্রাইভেট কোম্পানি হয়ে গেছে। ওটা আর রাজনৈতিক দল নেই। যাদের আত্মসন্মান বোধ আছে তারা তৃণমূল কংগ্রেস করতে পারে না।

উনি বলেন, অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে যে, আমি কি শর্তে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি? আমি তাদের একটাই উত্তর দিয়েছি আমার শর্ত হল বাংলাকে তোলাবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাঁচাতে হবে। ওঁরা রাস্তায় রাস্তায় তোলা তুলছে। গরু, কয়লা, বালি পাচার করছে সব ধরা পড়ে গেছে। অমিত শাহজির মন্ত্রক সব ধরে ফেলেছে। এবার জিতলে ওঁরা গরু, কয়লা, বালি পাচারের সাথে সাথে কিডনি পর্যন্ত পাচার করবে।

আমি বিজেপির নেতৃত্বকে বলল্ব, আমাকে MLA-এর টিকিট দিতে হবে না। আমি তোলাবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা খাটতে চাই শুধু। তিনি বলেন, ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের একার ক্ষমতায় মুখ্যমন্ত্রী হন নি। সেই সময় ওনাকে কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছিল।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর