বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগামী বছরেই বিধানসভা ভোট। এমতাবস্থায়, রাজনীতির ময়দানে একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ শাসক-বিরোধী গোষ্ঠী। একদিকে যেখানে ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ প্রতিবাদে অবতীর্ণ হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক সেই আবহেই বিধানসভায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বিজেপির পরিষদীয় দল। তারপর সেই মিছিল পৌঁছে যায় সিইও দফতরেও। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে রাস্তাতেই রীতিমতো গর্জে উঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন রাজ্যের ভোটার লিস্টে কোনওভাবেই রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম থাকতে পারে না। বুধবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমর্থন করে মমতা হাঁটছে। কিন্তু ভোটার লিস্টে কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম থাকতে পারে না।”
কী জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari):
এর পাশাপাশি রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানের সংখ্যাও সামনে আনেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি জানান, “বিহারে যদি ৩০ লক্ষ বাদ চলে যায়, সেক্ষেত্রে এখানে ৯০ লক্ষ আছে।” তারপরেই শুভেন্দু বলেন “বাংলাকে
রোহিঙ্গা মুসলমানদের হাতে যেতে দেওয়া হবে না। ভারতীয় হিন্দু-মুসলিম থেকে শুরু করে শিখ-খ্রিস্টান, জৈন, পারসি, বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ নেই। সব ধর্মের লোকই থাকবে। কিন্তু, ভোটার তালিকায় কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম থাকবে না।”
এদিকে, জনগণনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানও উপস্থাপিত করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, শেষ জনগণনা অনুযায়ী, জাতীয় গড়ের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের গ্রোথ ১০ শতাংশ বাড়ানো রয়েছে। এদিকে ভোটার তালিকায় রয়েছে ১৬ থেকে ২৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৬০ লক্ষের টেসলায় পাওয়া যাবেনা একাধিক ফিচার্স! অথচ মিলবে টাটার গাড়িতে, দাম মাত্র এত টাকা
সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু পরিসংখ্যান উপস্থাপিত করার মাধ্যমে জানান, “যেখানে জাতীয় গ্রোথ হল ৭ শতাংশ, সেখানে রাজ্যের ৯ টি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলায় গড় বৃদ্ধি হল ২০ থেকে ৩০ শতাংশ।” বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মেখলিগঞ্জে এই বৃদ্ধির হার হল ২৪.৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে নিক্কো পার্কে গিয়েই ঘটল সর্বনাশ! রহস্যমৃত্যু যুবকের, মুখ খুলল কর্তৃপক্ষ
পাশাপাশি, শীতলকুচিতে ২৪.৬২ শতাংশ, দিনহাটায় ২৫.৯৩ শতাংশ, মাথাভাঙায় ২১.৭৯ শতাংশ, তুফানগঞ্জ এবং কুমারগ্রামে ২১.১০ শতাংশ, কোচবিহার দক্ষিণ এবং কোচবিহার উত্তরে বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১৯.৭৯ শতাংশ ও ১৯.৫৯ শতাংশ বলেও জানান শুভেন্দু।