CAA-তে কি ঠাঁই পাবে বাংলাদেশী সংখ্যালঘুরা? স্পষ্ট জানালেন শুভেন্দু

Published on:

Published on:

Suvendu Adhikari says There is no place for Bangladeshi Muslims in CAA

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ CAA নিয়ে ফের সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট জানালেন, বাংলাদেশি মুসলিমদের কোনও স্থান নেই CAA-তে। তাঁদের অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, কেবলমাত্র অমুসলিম সংখ্যালঘুরাই নাগরিকত্বের সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশী মুসলিমদের নিয়ে কি বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “CAA-তে হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, সবাই অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিমদের স্পষ্টভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী, ডিটেনশন ক্যাম্পে তাঁদের জায়গা।” বিরোধী দলনেতার দাবি, ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে যারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের জন্যই এই আইনের সুযোগ।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, নাগরিকত্ব আবেদনের সময়সীমা আরও ১০ বছর বাড়ানো হচ্ছে। আগে এই সময়সীমা ছিল ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবেদনের সমস্যা ১০ বছর বাড়ানোর ফলে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ধর্মীয় কারণে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অমুসলিমরা আবেদন করতে পারবেন।

CAA-এর সীমা বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, “হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলেই সেকুলারিজম ও প্লুরালিজম টিকে থাকবে।” কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, CAA নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার আইন, কেড়ে নেওয়ার নয়। যদিও আইনটি কার্যকর হওয়ার সময় থেকেই তা ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

Shuvendu Adhikari says There is no place for Bangladeshi Muslims in CAA

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ ঘিরে বিতর্ক, মমতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন সেনারা, ধরনার অনুমতি না মেলায় হাই কোর্টে মামলা

CAA থেকে মুসলিমদের বাদ দেওয়ায়কে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনীতিতে ফের উত্তাপ ছড়াল। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কড়া মন্তব্যে পরিষ্কার যে, বিজেপি এই ইস্যুতেই জনসংযোগ আরও তীব্র করবে। অন্যদিকে, বিরোধীরা ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে যে, আইন বিভাজনের রাজনীতি করছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।