বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৩ জানুয়ারি ২০২১ এ ভিক্টোরিয়ায় মঞ্চ ছেড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করে বলেছিলেন, আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে ওঠার সময় দর্শকাসন থেকে ‘জয় শ্রী রাম” ধ্বনি ভেসে এসেছিল। আর সেই কারণে অপমানিত বোধ হয়ে তৃণমূল নেত্রী মঞ্চ ছেড়েছিলেন। যাওয়ার সময় জয় শ্রী রাম-এর পাল্টা জয় বাংলা ধ্বনি দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল, সরকারি অনুষ্ঠানে এভাবে ‘জয় শ্রী রাম” ধ্বনি দেওয়া অবাঞ্ছিত।
তখন থেকেই বিজেপিকে হিন্দুত্ব শেখাতে উঠেপড়ে লেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রায় জনসভাতে গিয়েই এখন মন্ত্র পাঠ করছেন। এমনকি তিনি বিজেপিকে আসল হিন্দুত্ব শিখিয়েই ছাড়ার সংকল্প নিয়েছেন। তবে বিজেপিকে হিন্দুত্ব শেখাতে দিয়ে বারবারই ভুল মন্ত্র পাঠ করে বিপাকে পড়ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালও ঠিক তাই হল।
নন্দীগ্রামের কর্মীসভা থেকে বিজেপিকে হিন্দুত্ব শেখাতে চণ্ডী পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও বলেন যে, আমি রোজ সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে চণ্ডী পাঠ করি। এরপরই তিনি মঞ্চ থেকে চণ্ডী পাঠ করা শুরু করেন। কিন্তু ওনার ওই চণ্ডী পাঠ ভুলে ভরা ছিল বলে দাবি করেন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
টুইটারে একটি টুইট করে শুভেন্দু বাবু লেখেন, ‘এর আগে ভগবান রাম’কে একাধিকবার অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভুল সরস্বতী মন্ত্র পাঠ করেছেন। ফের প্রকাশ্য জনসভা থেকে ভুল মন্ত্র পাঠ করলেন তিনি। এভাবেই বাংলার সংস্কৃতিকে বারবার অপমান করেছেন। যে বাংলাকে অপমান করে, তাকে বাংলার জনতা চায় না।”
এর আগে ভগবান রাম'কে একাধিকবার অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভুল সরস্বতী মন্ত্র পাঠ করেছেন।
ফের প্রকাশ্য জনসভা থেকে ভুল মন্ত্র পাঠ করলেন তিনি।
এভাবেই বাংলার সংস্কৃতিকে বারবার অপমান করেছেন @MamataOfficial।
যে বাংলাকে অপমান করে, তাকে বাংলার জনতা চায় না।@BJP4Bengal pic.twitter.com/XNUX2nEfbZ
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 9, 2021
বলে রাখি, এর আগে বিজেপিকে সরস্বতী মন্ত্র শেখাতে গিয়ে একের পর এক ভুল মন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বিজেপিকে হিন্দুত্বের পাঠ শেখাতে সেদিন ফের বিষ্ণুমাতার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। আর গতকাল আবার সেই ভুল মন্ত্র পাঠ করে বিজেপির নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী।