বাংলাহান্ট ডেস্ক: তৃণমূলের টিকিটে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন আলোরানি সরকার। বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকায়, তাঁর নির্বাচনী পিটিশন খারিজের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই প্রেক্ষিতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক টুইটে এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলোরানি সরকারের নাম বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় পাওয়া গিয়েছে। আদালতে একটি মামলা চলাকালীন সামনে এসেছে এই তথ্য। আর তাতে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, তৃণমূলের রেজিস্ট্রেশন অবিলম্বে বাতিল করা প্রয়োজন। বিদেশি নাগরিককে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করানোর চক্রান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর।
বারাসতে জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “আসলে মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর সহযোগীরা পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ-2 বানাতে চাইছে । যে কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান হত্যায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কেউ ডাক্তার সেজে গোবরডাঙায় লুকিয়ে থাকে। আবার তাদের একজন মাজেদ মাস্টার পার্কসার্কাসে লুকিয়ে থাকে। পরে এনআইএ তাকে ধরে বাংলাদেশে ফাঁসিতে ঝোলায়। এটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা। ফলে বাংলার ডেমোগ্রাফি পরিবর্তন হচ্ছে । অনুপ্রবেশের জেরে বাংলার আর্থ-সামাজিক কাঠামো নষ্ট হচ্ছে । এই বিপুল সংখ্যক অনুপ্রবেশকারীদের বাংলায় একসময় সিপিএম লালন পালন করেছে । এখন তৃণমূল কংগ্রেস তার পরিপূর্ণতা দিয়েছে ৷”
শুভেন্দু আরও বলেন, আলোরানি সরকার বিধায়ক হয়ে গেলে খালেদা জিয়ার হয়ে প্রচার করতেন। উল্লেখ্য, আদালতে যে তথ্যগুলি উঠে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে আলোরানি সরকারের। সেক্ষেত্রে আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেন না। এই বিষয়টি নিয়েই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।