বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সাধারণ মানুষের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার এক্স (X) হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু দাবি করেন, কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস নিজে উপস্থিত থেকে সমবেত ভক্তদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন। সেই ভিডিওতে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনাটিও স্পষ্ট দেখা গিয়েছে।
পুলিশ ব্যবহারে ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)
এক্স (X) হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুলিশকর্মীরা নিরঞ্জনে উপস্থিত সাধারণ মানুষকে লাঠি হাতে ধাওয়া করছেন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, “জগদ্ধাত্রী পুজোয় আনন্দ ও উন্মাদনা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ বরং সাধারণ হিন্দুদের উপরই অত্যাচার চালিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “যদি যথেষ্ট নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ থাকত, তাহলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হত না। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পুলিশ উল্টে জনগণের উপর বলপ্রয়োগ করেছে।”
রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ বিরোধী দলনেতার
এই ঘটনায় রাজ্য সরকার ও কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, “মমতা পুলিশের প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই অবাঞ্ছিত বলপ্রয়োগ করা। মানুষকে সম্মান জানিয়ে পরিস্থিতি সামলানো যেত, কিন্তু বরাবরের মতোই পুলিশ নিরপরাধ ভক্তদের উপর নেমে পড়েছে।”
এক্স পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, “শুক্রবার সকাল থেকেই কৃষ্ণনগরে শুরু হয় বিসর্জনের উন্মাদনা। সকালে ঘট বিসর্জনের পর সন্ধ্যায় প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে হাই স্ট্রিট থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত ভিড় জমে। পুলিশের ব্যবস্থার খামতি থেকেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। কিন্তু সেই সুযোগে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নেমে এসেছে।”
এদিকে, পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কৃষ্ণনগরজুড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। দুই দিনে ২০০০-রও বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। কেবলমাত্র কদমতলা ঘাটে চকেরপাড়া ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে অশান্তি হয়, যেখানে মহিলা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয় ও মারধরের চেষ্টা চালানো হয়। পুলিশ জানায়, “দুর্বৃত্তদের ছত্রভঙ্গ করতে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়।” পুলিশের আরও অভিযোগ, চকেরপাড়া ক্লাবের সদস্যরা আগেও একই ধরনের গোলমাল সৃষ্টি করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ সপ্তম ছাত্রীকে টোটোতে তুলে নিয়ে গিয়ে বস্তিতে ‘গণধর্ষণ’! ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দমদমে
ঘটনাটি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া। এক্স হ্যান্ডেলেও শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগের্ রাজ্যজুড়ে আবারও ‘পুলিশের পক্ষপাতিত্ব’ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে কঠোরতা দেখাচ্ছে। তবে তৃণমূল শিবির বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা প্রয়োজন তাই করেছে পুলিশ।













