বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভাষা ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য। অভিযোগ, BJP শাসিত রাজ্য গুলিতে বাংলা ভাষায় কথা বলা শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে তাড়ানো হচ্ছে, অত্যাচার করা হচ্ছে। এই নিয়ে উত্তাল রাজনীতি। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বাঙালি ‘হেনস্থা’ ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাস্তায় নেমেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূলের ওপর পাল্টা চাপ বাড়াতে অতীত তুলে আনলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।
মমতাকে তোপ শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত জানে, চোর জানে, তোষণবাজ জানে, ধর্ষকদের রক্ষাকর্তা জানে। গুজব এবং মিথ্যা রটানোর ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক মানের কোনো পুরস্কার যদি থেকে থাকে সেটা পাওয়ার যোগ্যতা কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাখে।”
প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘মানুষ শুনতে চায় যে ৫৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে ভারত সরকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, BSF জমি চাওয়া সত্ত্বেও জমি না দেওয়ার কারণ। মানুষ জানতে চায় ২০১৪-২৪ দশ বছরে রাজারহাট, নিউটাউন সহ প্রায় ৮০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ২০-৩০% ভোটার বৃদ্ধি হল কেন।”
বাঙালি ইসুতেই পাল্টা চাপ বাড়িয়ে শুভেন্দুর প্রশ্ন, “২৬০০০ বাঙালিকে কেন চাকরি হারাতে হল? ৩২০০০ প্রাইমারি শিক্ষককে কেন আশঙ্কার মধ্যে থাকতে হচ্ছে? তারাও তো বাঙালি, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।” তিনি আরও বলেন, “যারা ধর্মীয় উৎপীরণের বাংলাদেশ থেকে এসেছেন বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে আছেন তাঁরা শরণার্থী। তাঁরা অনুপ্রবেশকারী নন।”
তাহলে কারা অনুপ্রবেশকারী? শুভেন্দু বলেন, ” যারা মায়ানমার থেকে কক্সবাজারে এসে রিলিফ ক্যাম্পে ছিলেন পরবর্তীকালে খোলা বর্ডার দেখে নেপাল এবং বাংলাদেশ দিয়ে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছেন, মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনুকূল্যে।”
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের আর্জি খারিজ! ED-কে চার সপ্তাহের সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট
এরপরই মমতাকে অতীত মনে করিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ২০১৭ সালে টুইটে পোস্ট করেছিলেন, যে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের পাশে আমি আছি। তিনি আমন্ত্রণ করেছেন। গোটা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ” এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে কাঁটাতারের ওপারে ছুঁড়ে ফেলার আবেদনও করেন শুভেন্দু।