কেন দ্রুত দুর্যোগপূর্ণ উত্তরবঙ্গে যাননি মমতা? ‘কারণ’ ব্যাখ্যা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখলেন…

Published on:

Published on:

suvendu adhikari(5)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রকৃতির উপর জোর কার? সোমবার বিদ্ধস্ত উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উত্তরবঙ্গে পাড়ি দেওয়ার আগেই মৃতদের পরিবারের জন্য পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য ও কাজের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে মমতার উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে পাল্টা আসরে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত তা নাকি মুখ্যমন্ত্রী বোঝেন না।

সোমে উত্তরে মমতা, তোপ শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari

নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো পোস্ট করে শুভেন্দু লিখেছেন, “উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল” !!! কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?

শুভেন্দুর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, সেখানে ডিভিসি নামক বলির পাঁঠা নেই দোষারোপ করার জন্যে? নাকি ওখানে গিয়েও চিন, ভূটান, নেপালের “বহিরাগত জল” এর তত্ত্ব দেবেন? ওনার একটাই উদ্দেশ্য কি করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো যায়, কখনো ডিভিসি, কখনো সিইএসসি, কখনো উত্তর প্রদেশ-বিহার… ”

এখানেই শেষ নয়, বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “এই মুখ্যমন্ত্রী কোন বিষয় কে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত তা বোঝেন না, কলকাতা ভেসে যাওয়া ও কিছু নিরীহ মানুষ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার পরেও উনি পুজো উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, এখন কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত। এক বছর আগের কথা মনে পড়ে যায়, যখন বলেছিলেন “উৎসবে ফিরুন” ! তবেই তো লোকে আনন্দে মেতে থাকবে, ন্যায্য প্রশ্ন করবে না।

Suvendu Adhikari

আরও পড়ুন: অপেক্ষায় কয়েক লক্ষ! SSC-র শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে? চলে এল বড় আপডেট

উল্লেখ্য, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ যেহেতু পুজোর কার্নিভাল রয়েছে, এখানেও প্রায় ১০০টা পার্টিসিপেট করে কাল জেলারগুলো হয়ে গিয়েছে। সেখানে যদি আমরা না থাকি তাহলে খারাপ দেখায়। কারণ অনুষ্ঠান আমাদের সবাইকে ঘিরে। সুতরাং এটাও একটা ব্যাপার আছে বাংলার ঐতিহ্য। কাল বেলা তিনটের মধ্যে পৌঁছে মনিটরিং করে নেব।”